বাবা-ছেলে এনসিসি ব্যাংকের পরিচালক পদ হারালেন

নিজেদের গ্রুপের ঋণখেলাপি হয়ে পড়ায় পরিচালক পদ হারিয়েছেন এনসিসি ব্যাংকের চেয়ারম্যান মো. আবুল বাশার ও পরিচালক আবদুল আউয়াল। তারা সম্পর্কে বাবা-ছেলে। আবুল বাশার প্রাইম গ্রুপের ডিএমডি এবং তিন বছর ধরে ব্যাংকটির চেয়ারম্যান। তার বাবা আবদুল আউয়াল প্রাইম গ্রুপের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক।

আট ব্যাংক ও দুই আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে তাদের নেওয়া ঋণের পরিমাণ ১ হাজার ৭২৫ কোটি টাকা। এর মধ্যে অগ্রণী ব্যাংক, ব্যাংক এশিয়া, স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক, জনতা ব্যাংক ও প্রাইম ব্যাংকের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তাদের ব্যাংক কোম্পানি আইনের ১৭ ধারায় ইতিপূর্বে নোটিশ দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। নোটিশ দেওয়ার নির্দিষ্ট সময় অতিবাহিত হওয়ার পর তাদের পরিচালক পদ শূন্য হয়ে যাওয়াই নিয়ম। বাংলাদেশ ব্যাংক বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) চিঠি দিয়ে জানিয়েছে, ১২ অক্টোবর থেকে তাদের পরিচালক পদ শূন্য হয়ে গেছে।

এনসিসি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের কাছে পাঠানো চিঠিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলেছে, ব্যাংক-কোম্পানি আইন, ১৯৯১–এর ১৭ ধারার আওতায় প্রদত্ত নোটিশের শর্ত অনুযায়ী নোটিশ গ্রহণের দুই মাসের মধ্যে মো. আবুল বাশার ও আবদুল আউয়াল নোটিশে উল্লেখিত অর্থ পরিশোধ করতে ব্যর্থ হয়েছেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে ১২ অক্টোবর থেকে এনসিসি ব্যাংকে তাঁদের পরিচালক পদ শূন্য হয়ে গেছে। নোটিশে উল্লেখিত ব্যাংক এশিয়ার পাওনা আদায়ে ব্যাংক–কোম্পানি আইন, ১৯৯১–এর ১৭ (৫) ধারার বিধান কার্যকর হবে। ১৭ (৫) ধারা অনুযায়ী, এনসিসি ব্যাংকে থাকা তাদের শেয়ার বিক্রি করে অন্য ব্যাংকের ঋণ শোধ করা যাবে।

একাধিক সূত্রমতে, মো. আবুল বাশার ও আবদুল আউয়ালের বাইরে এনসিসি ব্যাংকের ভাইস চেয়ারম্যান সোহেলা হোসাইন ও পরিচালক এ এস এম মঈনউদ্দীন মোনেমও ঋণখেলাপি হয়ে পড়েছেন। চার পরিচালকের ঋণখেলাপি হয়ে পড়ায় এনসিসি ব্যাংকের ৫০০ কোটি টাকার বন্ড ছাড়ার আবেদন নাকচ করে দিয়েছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যের ভিত্তিতে বিএসইসি এ সিদ্ধান্ত দিয়েছে। তবে সম্প্রতি সোহেলা হোসাইনের ঋণ নিয়মিত করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!