** অনিয়মে জড়িত ৯ ব্যাংকে ২০২২ ও ২০২৩ সালে বাংলাদেশ ব্যাংক চিঠি দিলেও অডিট রিপোর্ট জমা দেয়নি
** ২৬ ব্যাংক থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত কর, ভ্যাট ও বিলম্ব ফি হিসেবে প্রায় ১০২ কোটি টাকা আদায় করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক
** আয়কর আইনের ১১৯ ধারা ও মূসক আইন অনুযায়ী সেবা আমদানির বিপরীতে অনিবাসী ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানে প্রেরিত রেমিট্যান্সের বিপরীতে কর ও ভ্যাট কর্তন করতে হবে
সেবা আমদানির বিপরীতে অনিবাসী ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানে প্রেরিত রেমিট্যান্সের উপর নির্ধারিত হারে কর ও ভ্যাট কর্তনের বিধান রয়েছে। এছাড়া অনিবাসী ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের ইনভয়েস মূল্য পরিশোধের ক্ষেত্রেও এই কর ও ভ্যাট কর্তনের বিধান রয়েছে। বিশেষ করে অ্যাডভারটাইজিং মেকিং, ডিজিটাল মার্কেটিং, অ্যাডভারটাইজিং ব্রডকাস্টিং ইত্যাদির ক্ষেত্রে অনিবাসী ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে সেবামূল্য বা রেমিট্যান্স প্রেরণের সময় ১৫ থেকে ৩০ শতাংশ হারে কর ও ১৫ শতাংশ ভ্যাট কর্তনের বিধান রয়েছে। তবে দেশের বেশ কিছু ব্যাংক রেমিট্যান্স প্রেরণের সময় কর, ভ্যাট ও বিলম্ব ফি আদায় করেনি। বাংলাদেশ ব্যাংক কেইস টু কেইস পর্যালোচনা শেষে ২১টি ব্যাংকের এই সংক্রান্ত অনিয়ম খুঁজে পেয়েছে। যার মধ্যে ১২টি ব্যাংকের অডিট রিপোর্ট যাচাই করে প্রায় ৩১৫ কোটি ১৭ লাখ টাকার অনিয়ম পেয়েছে। এসব ব্যাংক কর, ভ্যাট ও বিলম্ব ফি হিসেবে এসব টাকা কর্তন করেনি। ৯টি ব্যাংকে অডিট রিপোর্ট জমা দিতে নির্দেশনা দেওয়া হলেও রিপোর্ট জমা দেয়নি। আবার ২৬টি ব্যাংক থেকে কর, ভ্যাট ও বিলম্ব হিসেবে বাংলাদেশ ব্যাংক প্রায় ১০২ কোটি টাকা আদায় করেছে। ১২টি ব্যাংকের অনিয়মের বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) আওতাধীন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সেলকে (সিআইসি) প্রতিবেদন ও চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
এনবিআর সূত্রমতে, ৮ ডিসেম্বর বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে এনবিআরের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সেলে (সিআইসি) চিঠিসহ দুইটি প্রতিবেদন দেওয়া হয়েছে। এছাড়া চলতি বছরের ২২ জানুয়ারি সিআইসিকে বাংলাদেশ ব্যাংকে চিঠির সঙ্গে একটি প্রতিবেদন দিয়েছে। চিঠিতে বলা হয়েছে, আয়কর আইন, ২০২৩ এর ১১৯ ধারা ও মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক আইন, ২০১২—এর নির্ধারিত ধারার আওতায় অনিবাসীর অনুকূলে প্রেরিত রেমিট্যান্সের ক্ষেত্রে ব্যাংকসমূহ যথাযথ হারে কর ও ভ্যাট কর্তন করে রেমিট্যান্স প্রেরণের বিধান রয়েছে। তবে বাংলাদেশ ব্যাংক বিভিন্ন কেইস পর্যালোচনা করেছে। যাতে সেবা খাতে কর ও ভ্যাট কর্তন না করাসহ বেশ কিছু অনিয়ম পেয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে—ব্যাংকসমূহ নিজেদের এবং তাদের গ্রাহকের পক্ষে সেবাখাতে রেমিট্যান্স প্রেরণের সময় কতিপয় ক্ষেত্রে কর ও ভ্যাট কর্তন না করা; নির্ধারিত হারের চেয়ে কম হারে কর ও ভ্যাট কর্তন করা; ইনভয়েস ভ্যালুর সম্পূর্ণ অংশ রেমিট্যান্সের ক্ষেত্রে ট্যাক্স বেইজ করে নির্ধারিত হারে কর ও ভ্যাট কর্তন না করা; আয়কর অধ্যাদেশ, ১৯৮৪ এর ধারা ৫৬ অনুযায়ী চালান জমা না করে ধারা ৫২ ধারা অনুযায়ী চালান জমা প্রদান করা; একইসঙ্গে অনিবাসীর নামে চালান জমা প্রদান না করে নিবাসীর নামে (সেবা গ্রহীতার নামে) চালান প্রদান এবং পরবর্তীতে নিজের জন্য প্রযোজ্য করের সাথে তা সমন্বয় করা।
আরও বলা হয়েছে, গ্রাহকের নামে থাকা ইআরকিউ হিসাব বা এফসি হিসাব হতে সেবা খাতে রেমিট্যান্সের সময় কোন কর ও ভ্যাট কর্তন না করারও মতো অনিয়ম পাওয়া গেছে। এসব অনিয়ম বিবেচনায় নিয়ে ২১টি ব্যাংককে বাংলাদেশ ব্যাংকের তালিকাভুক্ত অডিট ফার্ম দ্বারা অডিট করে (অনাদায়ী কর, ভ্যাট ও বিলম্বে প্রদানের জন্য অতিরিক্ত পরিশোধ) অডিট রিপোর্ট জমা দিতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু ১২টি ব্যাংক অডিট রিপোর্ট জমা দিয়েছে দিয়েছে। যাতে কর, ভ্যাট ও বিলম্বে প্রদানের জন্য অতিরিক্ত পরিশোধ হিসেবে ৩১৫ কোটি ১৭ লাখ ৪ হাজার ৮১০ টাকা শনাক্ত করা হয়েছে। অর্থাৎ ব্যাংকগুলো কর, ভ্যাট ও বিলম্ব ফি হিসেবে এই টাকা কাটেনি। বাকি ৯টি ব্যাংক অডিট রিপোর্ট জমা দেয়নি। তাদের একাধিকার তাগাদাপত্র দেওয়া হয়েছে। এসব ব্যাংককে অডিট রিপোর্ট বাংলাদেশ ব্যাংক ও সিআইসিতে পাঠাতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। আবার বাংলাদেশ ব্যাংক কেইস টু কেইস পর্যালোচনা করে ২৫টি ব্যাংক থেকে একই খাতের ১০২ কোটি ৩১ লাখ ২২ হাজার ২৮২ টাকা আদায় করেছে। এসব ব্যাংকের অনিয়মের বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করা হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ১২টি ব্যাংক থেকে অনাদায়ী কর, ভ্যাট ও বিলম্ব প্রদান জনিত অতিরিক্ত আদায় ৩১৫ কোটি ১৭ লাখ ৪ হাজার ৮১০ টাকা। এসব ব্যাংক অনিবাসীর সেবা বাবদ অর্থ প্রেরণের ক্ষেত্রে এই কর, ভ্যাট আদায় করেনি। এর মধ্যে এবি ব্যাংক পিএলসির অনাদায়ী কর ২ কোটি ৮৫ লাখ ৫২ হাজার ৮৭১ টাকা। ডাচ বাংলা ব্যাংকের মোট অনাদায়ী কর ও ভ্যাট ২ কোটি ১৭ লাখ ৩৩ হাজার ১৯ টাকা। যার মধ্যে রয়েছে—অনাদায়ী কর ১ কোটি ১৩ লাখ ৩০ হাজার ৯৫১ টাকা ও ভ্যাট ১ কোটি ৪ লাখ ২ হাজার ৬৮ টাকা। ইস্টার্ন ব্যাংকের অনাদায়ী কর ২ কোটি ৭৪ লাখ ৯৯ হাজার ১৪৯ টাকা। সিটি ব্যাংকের মোট অনাদায়ী কর ও ভ্যাট ২১ কোটি ৩৭ লাখ ১৯ হাজার ৬৮৩ টাকা। যার মধ্যে রয়েছে—অনাদায়ী কর ৪ কোটি ২৯ লাখ ২৬ হাজার ৮৯২ টাকা ও অনাদায়ী ভ্যাট ১৭ কোটি ৭ লাখ ৯২ হাজার ৭৯১ টাকা।
এইচএসবিসি ব্যাংকের মোট অনাদায়ী কর ও ভ্যাট ১৯ কোটি ৩৯ লাখ ৪৩ হাজার ৪৮৫ টাকা। যার মধ্যে রয়েছে—অনাদায়ী কর ১১ কোটি ৪৫ লাখ ৪০ হাজার ৯২৬ টাকা ও অনাদায়ী ভ্যাট ৭ কোটি ৯৪ লাখ ২ হাজার ৫৫৯ টাকা। ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের মোট অনাদায়ী কর, ভ্যাট ও বিলম্ব ফি ১১৬ কোটি ৫২ লাখ ৬৯ হাজার ৭১২ টাকা। যার মধ্যে রয়েছে—অনাদায়ী কর ৫৩ কোটি ৩৫ লাখ ৬৬ হাজার ৭২৭ টাকা, ভ্যাট ২৩ কোটি ৩৯ লাখ ৫১ হাজার ৪৫৪ টাকা ও বিলম্ব প্রদান ফি ৩৯ কোটি ৭৭ লাখ ৫১ হাজার ৫৩১ টাকা। ঢাকা ব্যাংকের মোট অনাদায়ী কর, ভ্যাট ও বিলম্ব ফি ৬৫ কোটি ৫৭ লাখ ৯ হাজার ৭৫৯ টাকা। যার মধ্যে রয়েছে—কর ২০ কোটি ৭৬ লাখ ৫ হাজার ৮৯৫ টাকা, ভ্যাট ৩৪ কোটি ২৭ লাখ ৩৯ হাজার ৮৬৮ টাকা ও বিলম্ব প্রদান ফি ১০ কোটি ৫৩ লাখ ৬৩ হাজার ৯৯৫ টাকা। যমুনা ব্যাংকের মোট অনাদায়ী কর, ভ্যাট ও বিলম্ব ফি ২৬ কোটি ৬২ লাখ ৬ হাজার ৫১২ টাকা। যার মধ্যে রয়েছে—অনাদায়ী কর ৯ কোটি ১৭ লাখ ৮০ হাজার ১১৬ টাকা, ভ্যাট ৮ কোটি ৮৩ লাখ ৪৫ হাজার ২১৭ টাকা ও বিলম্ব ফি ৮ কোটি ৬০ লাখ ৮১ হাজার ১৭৯ টাকা। প্রাইম ব্যাংকের মোট অনাদায়ী কর, ভ্যাট ও বিলম্ব ফি ১২ কোটি ৬৭ লাখ ৬০ হাজার ৮৪১ টাকা। যার মধ্যে রয়েছে—কর ৫ কোটি ৫৭ লাখ ৩ হাজার ৭৭২ টাকা, ভ্যাট ৪ কোটি ৩৭ লাখ ৮ হাজার ৭৪৮ টাকা ও বিলম্ব ফি ২ কোটি ৭৩ লাখ ৪৮ হাজার ৩২০ টাকা। স্টেট ব্যাংক ইন্ডিয়ার মোট অনাদায়ী কর, ভ্যাট ও বিলম্ব ফি ১ কোটি ৫৫ লাখ ৬৯ হাজার ৩৯৯ টাকা। যার মধ্যে রয়েছে—কর ৫২ লাখ ৯৫ হাজার ৪৪৬ টাকা, ভ্যাট ৬১ লাখ ২০ হাজার ২২৭ টাকা ও বিলম্ব ফি ৪১ লাখ ৫৩ হাজার ৭২৬ টাকা। উত্তরা ব্যাংকের অনাদায়ী কর, ভ্যাট ও বিলম্ব ফি ১৩ কোটি ৮৯ লাখ ৩০ হাজার ৩১৩ টাকা। যার মধ্যে রয়েছে—কর ৭ কোটি ১৮ লাখ ৭০ হাজার ৪৩১ টাকা, ভ্যাট ৩ কোটি ৭৭ হাজার ৭২২ টাকা ও বিলম্ব ফি ৩ কোটি ৬৯ লাখ ৮২ হাজার ১৬০ টাকা। সোস্যাল ইসলামী ব্যাংকের মোট অনাদায়ী কর, ভ্যাট ও বিলম্ব ফি ২৯ কোটি ৭৮ লাখ ১০ হাজার ৬৬ টাকা। যার মধ্যে রয়েছে—কর ১২ কোটি ২৮ লাখ ৩৯ হাজার ৬৯৮ টাকা, ভ্যাট ৯ কোটি ২৬ লাখ ৩৯ হাজার ৩০৯ টাকা ও বিলম্ব ফি ৮ কোটি ২৩ লাখ ৩১ হাজার ৫৯ টাকা।
অপরদিকে, বাংলাদেশ ব্যাংকের অপর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, একই খাত থেকে বাংলাদেশ ব্যাংক বিভিন্ন ব্যাংকের অডিট রিপোর্ট ও কেইস টু কেইসের ভিত্তিতে চলতি বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত ২৬টি ব্যাংক থেকে কর, ভ্যাট ও বিলম্বে প্রদান জনিত অতিরিক্ত হিসেবে ১০২ কোটি ৩১ লাখ ২২ হাজার ২৮২ টাকা আদায় করেছে। যার মধ্যে রয়েছে—কর ৫২ কোটি ৩৫ লাখ ৭৪ হাজার ৮১৮ টাকা, ভ্যাট ৪৪ কোটি ৬ লাখ ১৩ হাজার ৮০৫ টাকা ও বিলম্ব প্রদান ফি ৫ কোটি ৮৯ লাখ ৩৩ হাজার ৬৫৮ টাকা। ২৬টি ব্যাংক হলো—ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক, এইচএসবিসি, দি সিটি ব্যাংক, ইস্টার্ন ব্যাংক, এবি ব্যাংক, ডাচ বাংলা ব্যাংক, ট্রাস্ট ব্যাংক, ব্যাংক এশিয়া, যমুনা ব্যাংক, এক্সিম ব্যাংক, মার্কেন্টাইল ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক, ঢাকা ব্যাংক, হাবিব ব্যাংক, ইসলামী ব্যাংক, আইসিবি ইসলামী ব্যাংক, এনসিসি ব্যাংক, এনআরবিসি ব্যাংক, প্রাইম ব্যাংক, পূর্বালী ব্যাংক, রূপালী ব্যাংক, সোস্যাল ইসলামী ব্যাংক, সোনালী ব্যাংক, সাউথইস্ট ব্যাংক, উত্তরা ব্যাংক ও সিটি ব্যাংক এনএ। ২৬টি ব্যাংকের মধ্যে সাতটি ব্যাংক থেকে সবচেয়ে বেশি কর, ভ্যাট ও বিলম্ব ফি আদায় করা হয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে—ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের কর ৮ কোটি ৪৫ লাখ ৮৭ হাজার ৩৮৪ টাকা, ভ্যাট ৪ কোটি ৭ লাখ ৯৭ হাজার ৩৫৫ টাকা ও বিলম্ব ফি ৩ কোটি ৮২ লাখ ৮০ হাজার ৯৭ টাকা; এইচএসবিসি ব্যাংকের কর ১০ কোটি ৯১ লাখ ৯৩ হাজার ৪৬০ টাকা ও ভ্যাট ৭ কোটি ২ লাখ ১১ হাজার ৩৩২ টাকা; দি সিটি ব্যাংক ৪ কোটি ৮ লাখ ৭৪ হাজার ২৪৭ টাকা ও ভ্যাট ১৬ কোটি ৯৫ লাখ ৬০ হাজার ৮৬৬ টাকা; ইস্টার্ন ব্যাংকের কর ৩ কোটি ১০ লাখ ৮৬ হাজার ৫৯১ টাকা, ডাচ বাংলা ব্যাংকের কর ১ কোটি ৪৪ লাখ ৮৭ হাজার ৩৪ টাকা ও ভ্যাট ১ কোটি ৪ লাখ ২ হাজার ৬৮ টাকা; ট্রাস্ট ব্যাংকের কর ১৮ কোটি ১৬ লাখ ৩৪ হাজার ৯৬১ টাকা ও ভ্যাট ১১ কোটি ৮০ লাখ ৩৬ হাজার ৭৫ টাকা এবং প্রাইম ব্যাংকের কর ৪ কোটি ৩১ লাখ ৫৩ হাজার ৯৩৬ টাকা, ভ্যাট ২ কোটি ৪৪ লাখ ২৯ হাজার ১৩৮ টাকা ও বিলম্ব ফি ১ কোটি ৭৯ লাখ ৩৫ হাজার ৭১৩ টাকা।
অপরদিকে, প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ৯টি ব্যাংক অনিবাসীর অনুকূলে সেবা বাবদ অর্থ প্রেরণের ক্ষেত্রে অনাদায়ী কর, ভ্যাট ও বিলম্ব প্রদানজনিত অতিরিক্ত আদায়ের অডিট রিপোর্ট বাংলাদেশ ব্যাংকে এখনো জমা দেয়নি। এসব ব্যাংকের অনিয়ম পেয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। অডিট রিপোর্ট জমা দিতে বাংলাদেশ ব্যাংক ২০২২ ও ২০২৩ সালে এই নয়টি ব্যাংককে পৃথক তারিখে চিঠি দিয়েছে। নয়টি ব্যাংক হলো—সোনালী ব্যাংক, ইসলামী ব্যাংক, পূর্বালী ব্যাংক, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক, ব্যাংক এশিয়া, এনআরবিসি ব্যাংক, ট্রাস্ট ব্যাংক, শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক ও আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক। এসব ব্যাংককে বিভিন্ন সময় একাধিক তাগিদপত্র দেওয়া হলেও অডিট রির্পোট জমা দেয়নি।