নভেম্বরে মূল্যস্ফীতি বেড়ে ১১.৩৮%

মূল্যস্ফীতির লাগাম টানতে বারবার সুদের হার বাড়ানো হলেও সুফল মিলছে না নিত্যপণ্যের বাজারে। নভেম্বর মাসে দেশে সামগ্রিক মূল্যস্ফীতি ০.৫১% বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১১.৩৮%। এছাড়া এই মাসে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ১.১৪% বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩.৮০%। বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) মূল্যস্ফীতি নিয়ে নভেম্বর মাসের ভোক্তা মূল্যসূচকের (সিপিআই) হালনাগাদ তথ্য প্রকাশ করেছে।

মূল্যস্ফীতির লাগাম টানতে বারবার সুদের হার বাড়ানো হলেও সুফল মিলছে না নিত্যপণ্যের বাজারে; চড়তে থাকা মূল্যস্ফীতি নভেম্বরে আরও বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১১ দশমিক ৩৮ শতাংশে। আগের মাসে এই হার ছিল ১০ দশমিক ৮৭ শতাংশ। তার মানে ২০২৩ সালের নভেম্বরে যে পণ্য বা সেবা ১০০ টাকায় মিলেছে, তা এ বছরের নভেম্বরে কিনতে ব্যয় করতে হয়েছে ১১১ টাকা ৩৮ পয়সা। পয়েন্ট-টু-পয়েন্ট ভিত্তিতে সার্বিক মূল্যস্ফীতির এ হার চলতি অর্থবছরের মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ।

বিবিএসের হালনাগাদ প্রতিবেদনের তথ্য বলছে, নভেম্বরে মূল্যস্ফীতি বাড়ার পেছনে মূল ভূমিকা রেখেছে খাদ্যপণ্যের উচ্চমূল্য। আগের মাসের তুলনায় খাদ্য মূল্যস্ফীতি ১ দশমিক ১৪ শতাংশ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩ দশমিক ৮০ শতাংশে। অক্টোবরে এই হার ছিল ১২ দশমিক ৬৬ শতাংশ। খাদ্য বহির্ভূত খাতে মূল্যস্ফীতি সামান্য বেড়ে নভেম্বরে হয়েছে ৯ দশমিক ৩৯ শতাংশ; যা অক্টোবরে ছিল ৯ দশমিক ৩৪ শতাংশ। নানা কারণে বাড়তে থাকা মূল্যস্ফীতি চলতি অর্থবছরের জুলাইয়ে গিয়ে ১১ দশমিক ৬৬ শতাংশে ঠেকে, যা অগাস্টে ১০ দশমিক ৪৯ শতাংশে নেমেছিল। সেপ্টেম্বরে তা আরও কিছুটা কমে ৯ দশমিক ৯২ শতাংশে দাঁড়ায়। এরপর ২ দশমিক ০৭ শতাংশ পয়েন্ট বেড়ে অক্টোবরে মূল্যস্ফীতি দাঁড়ায় ১০ দশমিক ৮৭ শতাংশে। পরের মাসে দশমিক ৫১ শতাংশ পয়েন্ট আরও বেড়ে যাওয়ায় কষ্ট বেড়েছে স্বল্প আয়ের মানুষের।

নভেম্বরে মূল্যস্ফীতি বেড়েছে শহর, গ্রাম- সবখানেই। শহরে সাধারণ মূল্যস্ফীতি দাঁড়িয়েছে ১১ দশমিক ৩৭ শতাংশ; যা এক মাস আগেও ছিল ১০ দশমিক ৪৪ শতাংশ। আর গ্রামে সাধারণ মূল্যস্ফীতি দাঁড়িয়েছে ১১ দশমিক ৫৩ শতাংশে; যা অক্টোবরে ছিল ১১ দশমিক ২৬ শতাংশ।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!