মালয়েশিয়ায় জনশক্তি রপ্তানির সিন্ডিকেটে জড়িত থাকার অভিযোগে সাবেক অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের মেয়ে নাফিসা কামালের প্রতিষ্ঠান অরবিটালস ইন্টারন্যাশনালসহ আট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মামলা করেছে অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। প্রতারণার মাধ্যমে প্রায় ৩৩ কোটি ৪৪ লাখ টাকা মানিলন্ডারিংয়ের অভিযোগে সোমবার গুলশান থানায় মামলাটি দায়ের করা হয়। সিআইডির পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়েছে।
সিআইডি জানায়, সরকার নির্ধারিত ফি’র চেয়ে বেশি টাকা আদায় করে শ্রমিক পাঠানোর অভিযোগে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে মামলাটি করা হয়েছে।
অভিযুক্তদের মধ্যে রয়েছেন নাফিসা কামাল, হাফিযুল বারী মোহাম্মদ লুৎফর রহমান (ইরভিং এন্টারপ্রাইজ), রফিকুল ইসলাম পাটোয়ারী (আমান এন্টারপ্রাইজ), জসিম উদ্দিন আহমেদ (আহাদ ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড), মো. আকতার হোসাইন (আক্তার রিক্রুটমেন্ট এজেন্সি), শিউলী বেগম (মালয়েশিয়া বাংলাদেশ হোল্ডিংস প্রা. লিমিটেড), কাউসার মৃধা (মৃধা ইন্টারন্যাশনাল করপোরেশন) ও মোহাম্মদ বশির (রাব্বি ইন্টারন্যাশনাল)।
সিআইডির তদন্তে বেরিয়ে এসেছে, ২০২২ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত মোট ৩ হাজার ১১১ জন কর্মীকে মালয়েশিয়ায় পাঠায় এই সিন্ডিকেট। সরকার নির্ধারিত জনপ্রতি ৭৮ হাজার ৯৯০ টাকার জায়গায় অবৈধভাবে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা আদায় করা হয়।
পাশাপাশি পাসপোর্ট, কোভিড পরীক্ষা, মেডিকেল ও পোশাক খাতে সরকারি নির্ধারিত চার্জ ছাড়াও আরও ৩৬ হাজার ৫০০ টাকা করে নেওয়ার প্রমাণ পাওয়া গেছে। এতে প্রতিজন থেকে ১ লাখ ৭ হাজার ৫১০ টাকা এবং সর্বমোট ৩৩ কোটি ৪৪ লাখ ৬৩ হাজার ৬১০ টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে।
সিআইডির ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিট মামলাটি তদন্ত করছে। অভিযুক্তদের স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ শনাক্তের কাজ চলছে বলে জানায় সংস্থাটি। সংশ্লিষ্টদের গ্রেপ্তার ও সিন্ডিকেটের সব সদস্যকে শনাক্ত করতে সাঁড়াশি অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানানো হয়।
** পাচারের টাকায় বিদেশে ‘কামাল পরিবারের’ সাম্রাজ্য
** ১১২৮ কোটি টাকা আত্মসাৎ: কামালসহ ১২ এজেন্সির বিরুদ্ধে মামলা
** কামালের পরিবারের ১৬৫ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ

