Header – Before
Header – After

শাহজালাল বিমানবন্দরে আমদানি পণ্য খালাস শুরু

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের পর পুনরায় আমদানি পণ্য খালাসের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। সোমবার (২০ অক্টোবর) বেলা ২টার দিকে বিমানবন্দরের ৯ নম্বর গেটে উপস্থিত অ্যাভিয়েশন সিকিউরিটি (অ্যাভসেক), আনসার ও কাস্টমস কর্মকর্তারা বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বেলা ৩টা পর্যন্ত ৯ নম্বর গেট দিয়ে আমদানি পণ্যের তিনটি চালান খালাস করা হয়েছে। চোখে-মুখে হতাশার ছাপ নিয়ে বিমানবন্দরের ৯ নম্বর গেটে খালাস করা পণ্য গ্রহণ করতে ক্লিয়ারিং অ্যান্ড ফরওয়ার্ডিং (সিঅ্যান্ডএফ), আমদানিকারক, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অবস্থান করতে দেখা যায়।

বিমানবাহিনীর সার্জেন্ট ও গেটে দায়িত্বপ্রাপ্ত অ্যাভসেক সদস্য স্বপন আরান জানান, অগ্নিকাণ্ডের পর আমদানি করা পণ্য খালাস কার্যক্রম আবারও শুরু হয়েছে। তিনি বলেন, ‘কাস্টমস কর্মকর্তারা ভেতরে কাজ শুরু করেছেন। তবে এখন কার্যক্রম সীমিত পরিসরে চলছে, ধীরে ধীরে গতি বাড়বে।’ দুপুরের পর থেকে খালাসকর্মীদের উপস্থিতিও বাড়তে শুরু করেছে। এদিকে গেটে আনসার ও ঢাকা কাস্টমস কর্মকর্তাদেরও অবস্থান দেখা গেছে। তাঁরা জানান, অগ্নিকাণ্ডের কারণে বন্ধ থাকা পণ্য খালাসপ্রক্রিয়া পুনরায় চালু হলেও পূর্ণ গতি ফিরে পেতে কিছুটা সময় লাগবে।

কাস্টমস সূত্রে জানা যায়, সিভিল অ্যাভিয়েশন কর্তৃপক্ষ আপাতত জিএসই মেইনটেন্যান্স নামের স্থানে পণ্য রাখার জন্য স্থান নির্ধারণ করেছে। কাস্টমস কর্তৃপক্ষ ওই স্থানে পণ্যের কায়িক পরীক্ষা সম্পন্ন করছে। ওই গেট দিয়ে পণ্যের খালাসপ্রক্রিয়া সম্পাদন করা হচ্ছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কাস্টমসের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের বাণিজ্যিক ঘাটতি কমানোর লক্ষ্যে কাস্টমস কর্মকর্তারা তাঁদের কার্যক্রম সচল রাখতে সব সময় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ব্যবসায়ীদের সুবিধার জন্য বিকল্প ব্যবস্থার মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট সব দপ্তরের সমন্বয়ে কার্যক্রম চলছে। এতে সংশ্লিষ্ট সবাই সহযোগিতা করছেন। এ বিষয়ে জানতে বিমানের কার্গো পরিচালক মো. শাকিল মিরাজের মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও পাওয়া যায়নি। পরে তাঁকে খুদেবার্তা পাঠানো হলেও তিনি জবাব দেননি।

উল্লেখ্য, বিমানবন্দরের ৮ নম্বর গেটসংলগ্ন আমদানি কার্গো ভিলেজ হাউসে গত শনিবার (১৮ অক্টোবর) বেলা আড়াইটায় এই অগ্নিকাণ্ড ঘটে। আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের ১৩টি স্টেশনের ৩৭টি ইউনিট কাজ করে। পরে প্রায় সাত ঘণ্টার চেষ্টায় রাত ৯টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। কিন্তু পুরোপুরি নির্বাপণ হয় গতকাল রোববার (১৯ অক্টোবর) বিকেল ৫টার দিকে।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!