মোবাইল ফোন অপারেটর রবি আজিয়াটার আমদানি চালানে মূল্য কম দেখানো হয়েছে কিনা—এ বিষয়ে মতামত চেয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আর্থিক গোয়েন্দা সংস্থা বিএফআইইউকে চিঠি পাঠিয়েছে চট্টগ্রাম কাস্টমস। এ জন্য রবির আমদানি এলসি ও ইনভয়েস–সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় তথ্যও সংস্থাটির কাছে সরবরাহ করা হয়েছে।
বিএফআইইউকে প্রেরিত চট্টগ্রাম কাস্টমসের ডেপুটি কমিশনার মো. সেলিম রেজা ২৫ নভেম্বর স্বাক্ষরিত চিঠিতে উল্লেখ করেছেন, রবির আমদানি করা পণ্য চালানে ইনভয়েসে ডিসকাউন্ট প্রাইসের কারণে মূল্যে বড় ধরনের হ্রাস লক্ষ্য করা গেছে, যা শুল্কায়নযোগ্য মূল্যের সঙ্গে সামঞ্জস্যহীন। এই চালানে আমদানিকৃত পণ্যগুলো পূর্বে সমজাতীয় পণ্যের সঙ্গে মিলিয়ে শুল্কায়নযোগ্য মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছিল। জাতীয় রাজস্ব সুরক্ষার স্বার্থে, কাস্টমস আইন, ২০২৩-এর ধারা-৭ অনুযায়ী, এ আমদানিতে আন্ডার ইনভয়েসিং হয়েছে কিনা সে বিষয়ে মতামত চাওয়া হয়েছে।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম মোবাইল ফোন অপারেটর রবি আজিয়াটা সম্প্রতি চীন থেকে টেলিকমিউনিকেশন নেটওয়ার্কের কাজে ব্যবহৃত ইকুইপমেন্ট ও সফটওয়্যার আমদানি করেছে। ঘোষণা অনুযায়ী চট্টগ্রাম বন্দরে পণ্যের চালানও এসে পৌঁছেছে। অভিন্ন পণ্যের ডাটাবেজের মূল্য অনুযায়ী প্রদত্ত রাজস্ব সরকারি কোষাগারে জমা দিয়েছে রবি। কিন্তু বিপত্তি ঘটেছে প্রতিষ্ঠানটির শুল্কায়নযোগ্য মূল্যে অসামঞ্জস্যে। আনুষ্ঠানিকভাবে পণ্যের ইনভয়েস ভ্যালু অস্বাভাবিক কম মূল্যে হিসাব করে রফতানিকারক প্রতিষ্ঠানকে পরিশোধ করা হয়েছে। যদিও রবি আজিয়াটা ইনভয়েস ভ্যালুকে সাপ্লায়ার কর্তৃক আফটার ডিসকাউন্ট প্রাইস এবং বিফোর ডিসকাউন্ট প্রাইস হিসেবে ব্যাখ্যা দিয়েছে। তবে পণ্যের মূল্য হেরফের করে রফতানিকারক দেশে অ্যাডজাস্টমেন্ট কিংবা অন্য কোনো ধরনের অস্বচ্ছতা রয়েছে কিনা সেটি যাচাইয়ের উদ্যোগ নেয় চট্টগ্রাম কাস্টমস।
চট্টগ্রাম কাস্টমসের ডেপুটি কমিশনার সাইদুল ইসলাম বলেন, ‘রবির সঙ্গে এ আন্তর্জাতিক আন্ডার ইনভয়েসিং হয়েছে কিনা সেটা জানতে মতামত চেয়ে আমরা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আর্থিক গোয়েন্দা সংস্থা বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটকে (বিএফআইইউ) চিঠি দিয়েছি।’

