প্রযুক্তি হস্তান্তরের চুক্তির মাধ্যমে চীনের সহযোগিতায় বাংলাদেশ বিমানবাহিনী দেশে একটি আনম্যানড এয়ারিয়াল ভেহিক্যাল (ইউএভি) বা ড্রোন উৎপাদন কারখানা স্থাপন করছে। কর্মকর্তাদের আশা, চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে এই প্ল্যান্ট স্থাপনের কাজ শেষ হবে। এটি দেশের প্রতিরক্ষা শিল্প সক্ষমতায় একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত হবে। এছাড়া, চীন বাংলাদেশে একটি বিমান ওভারহলিং কেন্দ্র স্থাপনের প্রস্তাবও দিয়েছে।
সেপ্টেম্বর মাসে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমন্বয় সভার কার্যবিবরণীতে এই তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে। সভায় বিশেষায়িত ডিফেন্স ইকোনমিক জোন স্থাপন এবং সামরিক ও আধা-সামরিক বাহিনীর ব্যবহারের পণ্য দেশেই উৎপাদনের জন্য সরকারি, বেসরকারি ও বিদেশি বিনিয়োগের সুযোগ সৃষ্টি করার বিষয়েও আলোচনা হয়েছে।
সভায় বিমানবাহিনীর একজন কর্মকর্তা জানান, দুই বছর আগে বাংলাদেশ বিমানবাহিনী প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশ অ্যারোনোটিক্যাল রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট সেন্টারে নিজস্ব নকশা অনুসারে চারটি বিমান তৈরি করা হয় এবং সফলভাবে উড্ডয়ন করা হয়। এর উদ্দেশ্য ছিল নিজেদের প্রশিক্ষণ বিমান নিজস্ব প্রযুক্তিতে উদ্ভাবন করা এবং পরবর্তীতে বাণিজ্যিকভাবে স্পোর্ট এয়ারক্রাফট উৎপাদন।
বিমানবাহিনীর কর্মকর্তারা বলেন, বিশ্বজুড়ে বিমান সম্পর্কিত সরঞ্জামাদির অনেক চাহিদা আছে। দেশের জনশক্তিকে দক্ষ জনশক্তিতে রূপান্তর করতে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো সমন্বিতভাবে কাজ করলে এভিয়েশন খাতে অনেক উন্নয়ন করা সম্ভব হবে এবং বিদেশি বিনিয়োগের সম্ভাবনা বাড়বে।
বিমান ওভারহলিং
চীনের বিমান ওভারহলিংয়ের প্রস্তাব সম্পর্কে একজন কর্মকর্তা সভায় বলেন, বিমানবাহিনীর বিদ্যমান সক্ষমতা ও জনবলের সঙ্গে কিছু সরঞ্জামাদি যুক্ত করে ব্যবহৃত বিমানের ইঞ্জিনের ওভারহলিং করা সম্ভব। ‘আমাদের প্রতিবেশী দেশগুলোতেও একই মডেলের বিমান এবং বিমানের ইঞ্জিন জনপ্রিয় হওয়ায় এ খাতে বিদেশি বিনিয়োগ পাওয়া তুলনামূলক সহজ হবে,’ বলেন তিনি।

