সবজির বাজারে ক্রেতারা স্বস্তি পেলেও মুরগির বাজারে বেড়েছে দামের চাপ। গত এক সপ্তাহে প্রতি কেজিতে সর্বোচ্চ ২০ টাকা পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে মুরগির দাম। ব্যবসায়ীদের দাবি, চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় দাম বাড়ছে। পাশাপাশি, চালের বাজারেও আগের মতোই চড়া দাম বজায় রয়েছে।
বৃহস্পতিবার ( ২০ মার্চ ) ঢাকার কারওয়ান বাজার, কলমিলতা বাজার ও তেজকুনিপাড়া ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২১০ টাকায়। আর সোনালি জাতের মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৩১০ টাকা দরে। সপ্তাহ খানেক ব্রয়লারের কেজি ছিল ১৯০ টাকার মতো। সে হিসেবে ১০ থেকে ২০ টাকা বেড়েছে কেজিতে। এ ছাড়া গত সপ্তাহে সোনালি জাতের মুরগি কেনা গেছে ২৮০ থেকে ২৯০ টাকায়।
মুরগির দাম বাড়ার কারণ ব্যাখ্যা করে কারওয়ান বাজারের নুরজাহান চিকেন ব্রয়লার হাউসের বিক্রয়কর্মী মো. নবী জানান, রোজার শেষদিকে প্রতি বছরই মুরগির দাম বেড়ে যায়। চাহিদা বাড়ায় এবারও একই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। তার মতে, প্রতিদিনই মুরগির দাম একটু একটু করে বাড়ছে। অন্যদিকে, গরুর মাংসের কেজি ৭৫০ থেকে ৭৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে ডিমের দাম কিছুটা কমেছে, বর্তমানে প্রতি ডজন বিক্রি হচ্ছে ১১৫ থেকে ১২০ টাকায়, যা মাসখানেক ধরে এ পর্যায়ে রয়েছে।
সবজির বাজারে এখনও স্বস্তি পাচ্ছেন ক্রেতা। উচ্ছে এবং ঢ্যাঁড়শের মতো দু-তিনটি ছাড়া বেশির ভাগ সবজির দর কম। মোটামুটি ৩০ থেকে ৫০ টাকার মধ্যে কেনা যাচ্ছে বেশির ভাগ সবজি। ঢ্যাঁড়শ ও উচ্ছের কেজি ৭০ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আলুর দর এখন তলানিতে। প্রতি কেজি আলু কেনা যাচ্ছে ১৮ থেকে ২০ টাকার মধ্যে।
পেঁয়াজের দরও কমছে। প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৩৫ টাকায়। রসুনের দরে পরিবর্তন নেই। আগের মতোই আমদানি করা রসুনের কেজি ২০০ থেকে ২১০ এবং দেশি রসুনের কেজি ১০০ থেকে ১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অস্বাভাবিক দর দেখা গেছে এলাচের। খুচরা ব্যবসায়ীরা মানভেদে প্রতি কেজি এলাচ বিক্রি করছেন ৪ হাজার ৫০০ থেকে ৫ হাজার টাকা দরে।

