তিন মাসে রাজস্ব আদায় কমেছে ২৩৯.৪২ কোটি টাকা

বেনাপোল কাস্টম হাউস

বেনাপোল কাস্টম হাউসে চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছিল ৬ হাজার ৭০৫ কোটি টাকা। বছরের প্রথম তিন মাসে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা ছিল এক হাজার ৫৪৩ কোটি ৩০ লাখ টাকা। সেখানে আদায় হয়েছে এক হাজার ৩০৩ কোটি ৮৮ লাখ টাকা। লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে কম রাজস্ব আদায় করা হয়েছে ২৩৯ কোটি ৪২ লাখ টাকা। এ সময় পণ্য আমদানি হয়েছে ৩ লাখ ৮২ হাজার ৬১৫ মেট্রিক টন, আর রপ্তানি হয়েছে ৯ হাজার ৬৪৯ মেট্রিক টন।

বেনাপোল কাস্টম হাউস সূত্রমতে, ২০২২-২৩ অর্থবছরে এই বন্দর দিয়ে পণ্য আমদানি হয়েছিল ১৪ লাখ ৪৫ হাজার মেট্রিক টন, ২০২১-২২ অর্থবছরে পণ্য আমদানি হয়েছিল ২১ লাখ ১৪ হাজার মেট্রিক টন। এছাড়া ২০২০-২১ অর্থবছরে আমদানি হয়েছে ২৬ লাখ ৪৪ হাজার মেট্রিক টন, ২০১৯-২১ অর্থবছরে ২০ লাখ ৩৮ হাজার ৬৪ মেট্রিক টন, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ২০ লাখ ১১ হাজার ৬ মেট্রিক টন পণ্য।

বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সহ-সভাপতি কামাল উদ্দিন শিমুল জানিয়েছেন, বৈশ্বিক মন্দা, ডলারের দাম ঊর্ধ্বগতি আর সংকটের কারণ দেখিয়ে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো কয়েক বছর ধরে এলসির সংখ্যা কমিয়েছেন। বর্তমানে কিছুটা স্বাভাবিক হয়েছে। তবে রাজনৈতিক পট পরিবর্তনে বেশিরভাগ ব্যবসায়ী পণ্য আমদানি কমিয়েছেন। তারা দেশের পরিস্থিতি দেখছেন। আশা করা যাচ্ছে সামনের মাসগুলোতে আমদানি রপ্তানি কার্যক্রম স্বাভাবিক গতি পাবে।

বেনাপোল আমদানি-রপ্তানি সমিতির সহ-সভাপতি আমিনুল হক আনু জানিয়েছেন, গেল আগষ্ট মাসে সরকার পরিবর্তনের পর দেশের পরিস্থিতি কিভাবে চলবে, তা পর্যবেক্ষণ করছেন ব্যবসায়ীরা। অনুকূল পরিবেশ থাকলে সামনে বাণিজ্য গতি ফিরে আসবে।

ইন্ডিয়া বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের ডাইরেক্টর মতিয়ার রহমান জানিয়েছেন, দেশে জুলাই-আগষ্ট মাসে আন্দোলন চলায় ব্যবসায়ীরা পণ্য আমদানি কমিয়ে দিয়েছিলেন। তবে সামনে আমদানি রপ্তানি বাড়বে। তখন রাজস্ব আদায়ও বেড়ে যাবে।
সরকার পরিবর্তনে ব্যবসা বাণিজ্য কিছুটা ছন্দপতন হয়েছে। ব্যবসায়ীরা দেশের পরিস্থিতি কোথায় যায় সেটি দেখছেন। আবার ডলারের উচ্চমূল্যও একটি বড় ব্যাপার। তবে আশা করা যাচ্ছে সামনের মাসগুলোতে বাণিজ্য গতি পাবে।

বেনাপোল কাস্টম হাউসের যুগ্ম কমিশনার হাফিজুল ইসলাম জানান, গেল জুলাই-আগস্ট মাসে দেশে আন্দোলন চলার কারণে ব্যবসায়ীরা পণ্য আমদানি থেকে বিরত থেকেছেন। এখন ডলারের পরিস্থিতিও স্থিতিশীল। আশা করা যাচ্ছে সামনের মাসগুলোতে ব্যবসায়ীরা পুরোদমে বাণিজ্য কার্যক্রম শুরু করবেন। তখন আমাদের রাজস্ব আদায়ও বেড়ে যাবে।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!