পূর্ব তিমুরের অনারারি কনসাল কুতুবউদ্দিন আহমেদ

ব্যবসায়ী, উদ্যোক্তা এবং বিশিষ্ট ক্রীড়া সংগঠক কুতুবউদ্দিন আহমেদকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বাংলাদেশে তিমুর-লেস্তের (পূর্ব তিমুর) অনারারি কনসাল হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দিয়েছে। বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন মেঘনায় মন্ত্রণালয়ের প্রটোকল প্রধান খন্দকার মাসুদুল আলম কুতুবউদ্দিন আহমেদের কাছে এ সংক্রান্ত একটি আনুষ্ঠানিক চিঠি হস্তান্তর করেন।

কুতুবউদ্দিন আহমেদ বাংলাদেশের ব্যবসায়িক ও সামাজিক অঙ্গনে একজন বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব। ২০২০ সালে তিনি স্পেনের রাজা কর্তৃক স্প্যানিশ রয়্যাল অর্ডার অব মেরিটের নাইট অফিসার উপাধিতে ভূষিত হন। বাংলাদেশ গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিজিএমইএ) এবং মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এমসিসিআই) সাবেক সভাপতি।

সামাজিক ও ব্যবসা অঙ্গন ছাড়াও ক্রীড়াঙ্গনেও রয়েছে তার বিশেষ অবস্থান। দেশের অন্যতম ঐতিহ্যবাহী ক্লাব মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের সঙ্গে তার সম্পৃক্ততা দীর্ঘদিনের। একসময় ক্লাবটির চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেছিলেন। ক্রীড়াঙ্গনের অন্যতম বড় সংস্থা বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের (বিওএ) মহাসচিবও ছিলেন। ক্রীড়াঙ্গনে অবদানের জন্য তিনি ২০০২ সালে জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার পান।
sheltech1
অনারারি কনসাল কুতুবউদ্দিন আহমেদ বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) থেকে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। টেক্সটাইল, গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারিং, রিয়েল এস্টেট, কনস্ট্রাকশন, সিরামিকস, এভিয়েশন এবং আরও অনেক কিছুসহ একাধিক শিল্পে তার দক্ষতা বিস্তৃত।
11
কুতুবউদ্দিন আহমেদ বলেন, বাংলাদেশে তিমুরের অনারারি কনসাল হিসেবে নিয়োগ দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কের একটি নতুন অধ্যায় চিহ্নিত করেছে। এর মাধ্যমে বাংলাদেশ এবং তিমুর-লেস্তের মধ্যে আনুষ্ঠানিক সম্পর্ক স্থাপন করে, উভয় দেশের সহযোগিতা বৃদ্ধির পথ খুলে দেবে। দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও উন্নয়ন অংশীদারিত্বের মাধ্যমে বাংলাদেশ তিমুর-লেস্তের অগ্রগতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে এবং আঞ্চলিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগের সুযোগ থেকেও উপকৃত হতে পারে।

সূত্রমতে, কুতুবউদ্দিনের পরিবারের সদস্যরা রয়েছেন শেলটেক গ্রুপে, যার আওতায় এখন মোট ১৭টি কোম্পানি যুক্ত আছে। এসব কোম্পানি আলাদা খাতভিত্তিক; যার মধ্যে আছে রিয়েল এস্টেট, সিরামিক, ভারী নির্মাণ প্রকল্প, ব্রোকারেজ। আছে বেশ কয়েকটি কার্গো জিএসএ, সিকিউরিটি সলিউশনস প্রতিষ্ঠান। দেশের দক্ষিণাঞ্চলের জেলা ভোলায় সিরামিক কারখানায় বড় বিনিয়োগ রয়েছে শেলটেকের। বর্তমানে সিরামিকসে টাইলসের পাশাপাশি স্যানিটারিওয়্যারেরও চাহিদা অনেক। সেই বিবেচনায় বর্তমানে সিরামিক কারখানার তিনটি লাইন পুরোপুরি চালু হয়ে যাওয়ার পর স্যানিটারিওয়্যারে বিনিয়োগে যাবে শেলটেক। প্রতিষ্ঠানটির লক্ষ্য হলো দিনে ২৫-৩০ হাজার কমোড তৈরি হবে।
18
স্যানিটারিওয়্যারের পর শেলটেকের বিনিয়োগ হবে গ্লাস উৎপাদনে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বাংলাদেশে আনুষ্ঠানিক গ্লাস কারখানার সংখ্যা হাতে গোনা। কিন্তু এ পণ্যের বাজারটি বড়। ফলে এ খাতে ব্যবসার বড় সুযোগ দেখছে শেলটেক। কারণ সিরামিকসের সব পণ্যেই অভিন্ন কাঁচামাল ব্যবহারের সুযোগ আছে। উৎপাদন প্রক্রিয়াও কমবেশি একই। সে কারণে ভোলায় শেলটেকের বিনিয়োগ প্রকল্পটি অর্থনৈতিক অঞ্চলের আদলে গড়ে তোলা হচ্ছে। প্রকল্পটি শেলটেকের বিজনেস হাব হিসেবে প্রস্তুত করা হয়েছে।

** সিরিশ কাগজের দেশীয় কোম্পানিতে নজর নেই
** দেশীয় সিরিশ কাগজ শিল্প সম্প্রসারণে নীতিসহায়তা দিন
** কারসাজি রোধে প্রতি কেজি শিরিশ কাগজ ৪ ডলারে শুল্কায়ন হবে

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!