Header – Before
Header – After

পণ্য পাচারে ১৫ জনের সিন্ডিকেট

বেনাপোল স্থলবন্দর

দেশের বৃহত্তম স্থলবন্দর বেনাপোল এখন সুসংগঠিত চোরাচালান চক্রের ঘাঁটিতে পরিণত হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। শুল্ক ফাঁকি দিয়ে পণ্য পাচারে কাস্টমস, স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ ও নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আনসার সদস্যদের একাংশ জড়িত বলে জানা গেছে। ১৫ সদস্যের একটি সিন্ডিকেটের যোগসাজশে সরকার বিপুল রাজস্ব হারাচ্ছে, পাশাপাশি বন্দরের নিরাপত্তাও হুমকির মুখে পড়েছে। সম্প্রতি পণ্য পাচারের অভিযোগে আনসার বাহিনীর দুই প্লাটুন কমান্ডারকে প্রত্যাহার ও বেসরকারি নিরাপত্তা সংস্থার প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করেছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। তবে তদন্তে আরও ভয়াবহ তথ্য বেরিয়ে এসেছে—বন্দরের মূল হোতা হিসেবে কয়েকজন প্রভাবশালী কর্মকর্তাকে চিহ্নিত করা হয়েছে, যারা দীর্ঘদিন ধরে এই সিন্ডিকেট পরিচালনা করছেন।

তথ্য অনুযায়ী, বেনাপোল বন্দরের অবৈধ পণ্য পাচার সিন্ডিকেটের নেতৃত্ব দিচ্ছেন বন্দরের ওয়্যারহাউজ সুপারিনটেনডেন্ট আশিকুর রহমান রনি, আসমাউল হোসেন, রজব আলী ও ট্রাফিক ইন্সপেক্টর জাবেদি বিল্লাহ এবং কাস্টমস হাউজ পিসি হেলালুজ্জামানসহ মোট ১৫ জন। তাদের প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে বন্দরের একাংশে নিয়মিত পণ্যচালান পাচার হয়ে থাকে। এদের সহযোগী হিসেবে আনসারের একাধিক সদস্যকেও চিহ্নিত করা হয়েছে। তারা হলেন সোহেল রানা, অসিত কুমার বিশ্বাস (পিসি) বন্দর আনসার, ইয়েমিন কবির (পিসি) বন্দর আনসার, আসাদুজ্জামান (এপিসি) বন্দর আনসার। আনসার সদস্য ইউনুস, রাসেল শেখ, বাদশাহ, নাজমুল হক, কৃষ্ণ কুমার দাস ও আনন্দ কুমার দাস।

ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, ট্রাফিক ইন্সপেক্টর জাবেদি বিল্লাহ ও কাস্টমস হাউসের পিসি হেলালুজ্জামান বারবার অনিয়মে জড়িত থেকে প্রত্যাহার হওয়ার পরও অদৃশ্য প্রভাবের কারণে আবারও স্বপদে ফিরে এসে একই কর্মকাণ্ডে যুক্ত হচ্ছেন। আমদানি-রপ্তানিকারক সমিতির সাধারণ সম্পাদক জিয়াউর রহমান জিয়া জানান, দীর্ঘদিন ধরে বেনাপোল বন্দরে একটি প্রভাবশালী চক্র মিথ্যা ঘোষণা ও ‘নো এন্ট্রি’ পণ্যের মাধ্যমে অবৈধ আমদানিতে জড়িত। তিনি বলেন, “আমরা চাই দ্রুত এ চক্রকে শনাক্ত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হোক।

বেনাপোল স্থলবন্দর পরিচালক (উপসচিব) শামীম হোসেন রেজা জানান, অভিযুক্তদের বন্দরে প্রবেশ রোধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে এবং প্রশাসনের পক্ষ থেকেও নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। তবে কাস্টমস কমিশনার খালেদ মো. আবু হোসেনের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তার মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

প্রসঙ্গত, বন্দরের আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে রাখতে জেলা প্রশাসক মো. আজহারুল ইসলাম ১৬ অক্টোবর থেকে কার্যকরভাবে দুজন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটকে অস্থায়ীভাবে নিয়োগ দিয়েছেন। তারা হলেন, শার্শা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি)।

** বেনাপোলে ২.৫০ কোটি টাকার পণ্য জব্দে তদন্ত কমিটি
** বেনাপোল বন্দরে রাজস্ব ফাঁকি, তদন্তে এনবিআর-মন্ত্রণালয়
** কসমেটিকস আমদানিতে জালিয়াতি, চলছে রাজস্ব ফাঁকি
** বেনাপোলে শুল্ক ফাঁকি দিয়ে আসছে ভারতীয় পোশাক
** ঘুস নিয়ে শুল্ক ছাড়াই পণ্য ছাড়, দুদকের অভিযান
** বেনাপোল বন্দরে ৬৭৪ ম্যানিফেস্টের তথ্যে অনিয়ম
** অতিরিক্ত শুল্ক ,বেনাপোল দিয়ে মাছ আমদানি বন্ধ
** এক বছরে বেনাপোলে যাত্রী চলাচল অর্ধেকে
** বেনাপোলের ২৫ কোটি টাকার চুরির কাপড় উদ্ধার
** বেনাপোলে শুল্ক ফাঁকি দিয়ে আসছে ভারতীয় পোশাক
** চাকার স্লাবে শুল্ক, বেনাপোলে রাজস্ব কমছে
** বেনাপোল দিয়ে দুইদিনে ফল এসেছে ১২০ ট্রাক
** বেনাপোল বন্দর-কাস্টমসে সবই অনিয়ম
** বেনাপোলে শত কোটি টাকার হোমিও ওষুধ জব্দ
** ভারতের সঙ্গে ৩ স্থলবন্দর বন্ধ, ১টি স্থগিতের সিদ্ধান্ত

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!