আরও নয়টি কাস্টমস স্টেশন দিয়ে আলু আমদানির অনুমতি দিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। স্টেশনগুলো হলো- চাঁপাইনবাবগঞ্জের রহনপুর, কুড়িগ্রামের সোনাহাট, জামালপুরের ধানুয়া কামালপুর, শেরপুরের নাকুগাঁও, ময়মনসিংহের গোবরাকড়া ও কড়ুইতলী, সিলেটের তামাবিল, জকিগঞ্জ ও শেওলা। আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত এই স্টেশনগুলো দিয়ে আলু আমদানি করা যাবে। সোমবার (২০ জানুয়ারি) এনবিআরের প্রথম সচিব (কাস্টমস: আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ও চুক্তি) মোহাম্মদ আসাদ-উজ-জামান সই করা প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ রহনপুর স্টেশন দিয়ে নেপাল, ভুটান ও ভারত থেকে আলু আমদানি হবে। এছাড়া কুড়িগ্রামের সোনাহাট স্টেশন দিয়ে ভুটান ও ভারত; জামালপুরের ধানুয়া কামালপুর স্টেশন দিয়ে ভারত থেকে; শেরপুরের নাকুগাঁও স্টেশন দিয়ে নেপাল, ভুটান ও ভারত থেকে; ময়মনসিংহের গোবরাকুড়া স্টেশন দিয়ে ভুটান ও ভারত থেকে; ময়মনসিংহের কড়ইতলী স্টেশন দিয়ে ভুটান ও ভারত থেকে; সিলেটের তামাবিল স্টেশন দিয়ে নেপাল, ভুটান ও ভারত থেকে এবং সিলেটের জকিগঞ্জ ও শেওলা স্টেশন দিয়ে ভারত থেকে আলু আমদানি হবে।
এনবিআর সূত্রে জানা গেছে, একটি নির্দিষ্ট শুল্ক স্টেশন দিয়ে কোন কোন পণ্য আমদানি করা যাবে, সেই তালিকা ঠিক করে দেওয়া হয়। এর মধ্য দিয়ে এই নয়টি শুল্ক স্টেশনের আমদানি পণ্যের তালিকায় আলু যুক্ত হলো। ভারত, নেপাল ও ভুটান থেকে আমদানি করা আলু এই শুল্ক স্টেশন দিয়ে আনা যাবে। এই আদেশ অবিলম্বে কার্যকর করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এনবিআরের একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, দেশের আলু আমদানি ভারতের ওপর অনেক বেশি নির্ভরশীল। ভারতের ওপর নির্ভরতা কমাতে বিকল্প বাজার হিসেবে নেপাল ও ভুটানের আলু যাতে সহজে আসতে পারে, সে জন্য নতুন করে ৯টি শুল্ক স্টেশন দিয়ে আলু আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
এনবিআর সূত্রমতে, বর্তমানে বেনাপোল ও ভোমরা শুল্ক স্টেশন দিয়ে বেশি আলু আমদানি হয়। দেশে বছরে আলুর চাহিদা ৮৫ থেকে ৯০ লাখ টন। স্থানীয় উৎপাদন ১০৬ লাখ টন। ২৫ শতাংশ সংরক্ষণকালীন ক্ষতি ও বীজ বাদে সরবরাহ সাড়ে ৭৯ লাখ টন। ভারত থেকে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে আলু আমদানি হয়েছে দেড় লাখ টন।