Header – Before
Header – After

নতুনদের জন্য রিটার্ন জমার ১০ কৌশল

প্রথমবার কর দেওয়ার সময় তরুণ করদাতাদের মধ্যে আনন্দের সঙ্গে দায়িত্ববোধও জাগে। প্রতিবছর প্রথমবার বার্ষিক রিটার্ন জমা দেওয়া করদাতাদের বেশির ভাগই তরুণ।

প্রথমবার রিটার্ন দিচ্ছেন এমন অনেকেই তা সঠিকভাবে পূরণ করতে পারেন না এবং খুব কৌশলী হন না। এবার যারা প্রথমবার বার্ষিক আয়কর বিবরণী জমাবেন, তাদের সতর্ক থাকা উচিত। ফরম পূরণ করার সময় সচেতন ও কৌশলী হোন। মনে রাখবেন, এ বছর আপনি ২০২৪ সালের জুলাই থেকে ২০২৫ সালের জুন পর্যন্ত আয়-ব্যয়ের বিবরণী দেবেন এবং প্রয়োজন হলে সম্পদের বিবরণীও দিতে হতে পারে।

এবার দেখা যাক, প্রথমবার রিটার্ন দেওয়ার আগে কী কী বিষয় ভাবা উচিত।

১. সময়সীমা মনে রাখুন।

প্রতিবারের মতো এ বছর রিটার্ন জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ৩০ নভেম্বর। তবে নতুন করদাতাদের ক্ষেত্রে সারা বছরই দেওয়া যায়। এবার কিন্তু অনলাইনে রিটার্ন জমা দিতে হবে।

২. সম্পদ না লুকানো।

প্রথমবারের রিটার্নে সম্পদ লুকাবেন না। আপনার নামে থাকা জমিজমা, নগদ টাকা, আসবাব, ইলেকট্রনিক পণ্য, স্বর্ণালংকার ইত্যাদি সবকিছুই রিটার্নে দেখান।

৩. বিয়ের উপহারও বাদ না দেওয়া।

বিয়েতে আপনি স্বর্ণালংকার উপহার হিসেবে পেয়েছেন। এগুলো রিটার্নে দেখিয়ে ফেলুন।

৪. সম্পদ দেখানো বুদ্ধিমানের কাজ।

প্রথমবারই যা সম্পদ আছে, তা দেখিয়ে ফেলুন। কারণ, পরে হঠাৎ সম্পদ দেখালে কর কর্মকর্তারা উৎস সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করতে পারেন। এ নিয়ে ঝামেলায় পড়তে পারেন।

৫. কৌশলী হয়ে অনেকে বেশি সম্পদ দেখান।

কৌশলগত বাড়তি সম্পদ দেখানো যায়। যেমন আপনার কাছে ২০ ভরি সোনা থাকলে ৫০ ভরি দেখালেন। ভবিষ্যতে নতুন সম্পদ যোগ করলে সেটি সমন্বয় করা সহজ হয়। মনে রাখবেন, চার কোটি টাকা পর্যন্ত সম্পদের ওপর কর নেই।

৬. খরচ দেখাতে কৃপণতা করুন।

খরচ দেখাতে কৃপণতা করুন। আয়ের সঙ্গে যেন খরচের সংগতি থাকে। কারণ, আপনি আয়ের চেয়ে বেশি খরচ দেখিয়ে ফেললে বিপাকে পড়তে পারেন। আপনার খরচের উৎস সম্পর্কে প্রশ্ন করতে পারেন কর কর্মকর্তারা।

৭. বিলাসী খরচে বিরত থাকুন।

আপনার আয় কম। যেমন ছোট পদের চাকরি করে জীবনযাত্রার খরচে দেখালেন নিয়মিত বিদেশ ভ্রমণ করছেন। সন্তানদের নামীদামি স্কুলে পড়াশোনা করান। তাহলে কর কর্মকর্তার এতে সন্দেহ হতে পারে।

৮. ধাপে ধাপে জীবনযাপনের পরিবর্তন দেখান।

আপনার জীবনযাত্রায় হঠাৎ পরিবর্তন হয়ে গেছে, বিলাসী জীবন যাপন শুরু করলেন। রিটার্নে জীবনযাত্রার খরচের এসব দেখালে তা ঝুঁকিপূর্ণ।

৯. কর কর্মকর্তারা প্রথমবার সদয় থাকেন।

প্রথমবার রিটার্ন দিলে কর কর্মকর্তারা তেমন একটা যাচাই–বাছাই করেন না। যা দেখাবেন, কর দেবেন—তা–ই মেনে নিতে পারেন তাঁরা। তাঁরা হয়তো ভাবেন, নতুন করদাতারা ভবিষ্যতের করদাতা। দীর্ঘ সময় কর দেবেন তাঁরা।

১০. সততার সঙ্গে রিটার্ন দিন।

সততার সঙ্গে এবং আয়ের সঙ্গে ব্যয়ের সামঞ্জস্য রেখে ফরম পূরণ করুন। সৎভাবে রিটার্ন দিলে বিপদে পড়ার সম্ভাবনা নেই।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!