Header – Before
Header – After

দুই গ্যাস কূপ খননে চীনা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি

বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ডস কোম্পানি লিমিটেড (বিজিএফসিএল) চীনা প্রতিষ্ঠান চুয়ানচিং ড্রিলিং ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি লিমিটেডের (সিসিডিসি) সঙ্গে দুটি কূপ খননের জন্য চুক্তি করেছে। ৫৯৪ কোটি টাকা ব্যয়ে বাখরাবাদ ও তিতাস এলাকায় গভীর অনুসন্ধানমূলক এই কূপ দুটি খনন করা হবে। বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) রাজধানীর কারওয়ান বাজারে পেট্রোবাংলা কার্যালয়ে বিজিএফসিএল ও সিসিডিসির মধ্যে এ চুক্তি সই হয়।

একটি কূপের গভীরতা হবে ৫ হাজার ৬০০ মিটার এবং অন্যটির ৪ হাজার ৩০০ মিটার। দেশে এই প্রথম এত গভীরে অনুসন্ধান কূপ খনন করা হচ্ছে। গভীর অনুসন্ধানে কূপ খননের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল পূর্ববর্তী আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে। তবে এই কূপ খননে ব্যয় হবে সরকারি সংস্থা বাপেক্সের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ।

পেট্রোবাংলা সূত্রে জানা গেছে, তিতাসের ৩১ নম্বর কূপে ৫ হাজার ৬০০ মিটার এবং বাখরাবাদের ১১ নম্বর কূপে ৪ হাজার ৩০০ মিটার গভীর পর্যন্ত খনন করা হবে। প্রকল্পটির মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৭৯৮ কোটি টাকা। এর মধ্যে ৫৫৮ কোটি ৬০ লাখ টাকা সরকার ঋণ হিসেবে দেবে এবং ২৩৯ কোটি ৪০ লাখ টাকা আসবে বিজিএফসিএলের নিজস্ব তহবিল থেকে। চীনা প্রতিষ্ঠানকে দুটি কূপ খননের জন্য দেওয়া হবে ৫৫৮ কোটি ৬০ লাখ টাকা, আর বাকি অর্থ ব্যয় হবে ভূমি অধিগ্রহণ ও গ্যাসের পাইপলাইন নির্মাণে। ২০২৭ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে প্রকল্পের কাজ সম্পন্ন করার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে।

পেট্রোবাংলার কর্মকর্তারা বলছেন, তিতাস ও বাখরাবাদ গ্যাসক্ষেত্রে বাপেক্স ২০১১-১২ সালে ত্রিমাত্রিক জরিপ শুরু করে। ওই জরিপের ফলাফলের ভিত্তিতেই পূর্ববর্তী সরকার কূপ খননের সিদ্ধান্ত নেয়। জরিপে দেখা যায়, গ্যাসক্ষেত্র দুটিের ৩৭০০ থেকে ৫৬০০ মিটার গভীরে গ্যাসের অস্তিত্ব রয়েছে। এর ওপরের স্তর থেকে দীর্ঘদিন ধরে গ্যাস উত্তোলন চলছে। উন্মুক্ত আন্তর্জাতিক দরপত্রে অংশ নিয়ে চীনের সিসিডিসি কূপ খননের কাজের দায়িত্ব পায়। খনন শেষ হলে প্রতিদিন প্রায় ২৫০ কোটি ঘনফুট গ্যাস উত্তোলনের লক্ষ্য রয়েছে। প্রকল্পের কাজ শেষ করতে ২০২৭ সাল পর্যন্ত সময় লাগবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!