Header – Before
Header – After

জাপানে পোশাক রপ্তানিতে বড় সম্ভাবনা

২০২৪ সালে জাপানে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি হয়েছে ১.২৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা জাপানের মোট পোশাক আমদানির মাত্র ৫.৫০ শতাংশ। এই তথ্য প্রকাশ করেছে ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড সেন্টার (আইটিসি) রোববার (২১ সেপ্টেম্বর)।

তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালে জাপান বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে মোট ২২.৮৫ বিলিয়ন ডলারের পোশাক আমদানি করেছে। এর মধ্যে নীট পোশাকের আমদানি হয়েছে ১১.৮৬ বিলিয়ন ডলার, যার মধ্যে বাংলাদেশের অংশ ৬৩৩ মিলিয়ন ডলার, অর্থাৎ মোট নীট পোশাকের ৫.৩৪ শতাংশ। অন্যদিকে ওভেন পোশাকের আমদানি হয়েছে ১০.৯৯ বিলিয়ন ডলার, যার মধ্যে বাংলাদেশের রপ্তানি ছিল ৬২৩ মিলিয়ন ডলার, যা ৫.৬৮ শতাংশের সমান।

বিজিএমইএ’র সাবেক পরিচালক মো. মহিউদ্দিন রুবেল বলেন, এই পরিসংখ্যান প্রমাণ করে যে জাপানে বাংলাদেশের রপ্তানির বিশাল সম্ভাবনা এখনও পুরোপুরি ব্যবহার হয়নি। জাপান একটি মান-সচেতন ও ফ্যাশনপ্রবণ বাজার, যেখানে উচ্চমূল্যের পণ্য বিক্রির সুযোগ অনেক বেশি। তিনি আরও উল্লেখ করেন, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের ওপর নির্ভরতা কমাতে বাংলাদেশের উচিত জাপানের মতো অপ্রচলিত ও সম্ভাবনাময় বাজারগুলোতে নজর দেওয়া। এসব বাজারে প্রবেশ নতুন প্রবৃদ্ধির সুযোগ খুলে দিতে পারে।

বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানির প্রধান দুটি গন্তব্য হলো যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে দেশের প্রায় ২০ শতাংশ পোশাক রপ্তনি হয়, আর ইইউ বাজারে রপ্তানি হয় প্রায় ৫০ শতাংশ। বাকি ৩০ শতাংশ রপ্তানি হয় বিভিন্ন অপ্রচলিত বাজারে, যার মধ্যে জাপান অন্যতম।

বিশ্লেষকদের মতে, জাপানে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানির এই সীমিত অংশ একদিকে চ্যালেঞ্জ হলেও, অন্যদিকে বিশাল সম্ভাবনার ইঙ্গিত বহন করছে। তারা মনে করেন, মানসম্পন্ন ও বৈচিত্র্যময় পণ্য নিয়ে এ বাজারে আরও বড় পরিসরে প্রবেশ করা সম্ভব।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!