Header – Before
Header – After

জরিমানা ‍দিতে বাধ্য হলো বাটা

গ্রাহক প্রতারণার অভিযোগে বাটা সু কোম্পানি (বাংলাদেশ) লিমিটেডকে জরিমানা পরিশোধ করতে হয়েছে। বৃহস্পতিবার প্রতিষ্ঠানটি জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরে এক লাখ টাকার চেক জমা দিয়েছে, জানিয়েছেন অধিদফতরের উপ-পরিচালক শাহীন আরা মমতাজ।

তিনি জানান, ভোক্তার সঙ্গে একাধিকবার প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করায় গত ২৯ নভেম্বর বাটাকে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। আইন অনুযায়ী ৬ ডিসেম্বরের মধ্যে জরিমানার এ অর্থ পরিশোধের সুযোগ দেয়া হয়। কিন্তু তারা জরিমানা পরিশোধ না করে উল্টো মওকুফের আবেদন করলে অধিদফত তা খারিজ করে দেয়। আর নির্ধারিত সময়ে জরিমানা পরিশোধ না করায় আইন অনুযায়ী জরিমানার সমপরিমাণ অর্থের সম্পত্তি ক্রোক করতে বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেমম্বর) বাটার টঙ্গীর প্রধান কার্যালয়ে অভিযানে যান ভোক্তা অধিদফতরের কর্মকর্তারা।

জানা গেছে, অধিদফতরের ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের উপ-পরিচালক (উপসচিব) মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার ও শাহীন আরা মমতাজ অভিযানে যান। অভিযানে সহায়তা করেন অধিদফতরের সহকারী পরিচালক শাহনাজ সুলতানা ও মো. আব্দুল জব্বার মণ্ডলসহ এপিবিএন-১ এর সদস্যরা। পরে সম্পত্তি রক্ষায় জরিমানার অর্থ পরিশোধ করে বাটা কর্তৃপক্ষ।

অধিদফতর সূত্র জানায়, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন-২০০৯ অনুযায়ী কোনো প্রতিষ্ঠান জরিমানার অর্থ পরিশোধ না করলে সমপরিমাণ অর্থের সম্পদ ক্রোকের বিধান রয়েছে। আইনে প্রতিষ্ঠানটি সিলগালা করে দেয়ারও ক্ষমতা দেয়া হয়েছে। সূত্র জানায়, প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে ভোক্তাদের একই অভিযোগ বার বার আসায় ও তা প্রমাণ হওয়ায় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ অনুসারে তাদেরকে দ্বিগুণ (এক লাখ টাকা) জরিমানা করা হয়।

উল্লেখ্য, আসিফ আহম্মেদ নামের এক ক্রেতা বাটা জুতা অনলাইনে অর্ডার করে মোবাইল ব্যাংকিংয়ে টাকা পরিশোধ করেন। বাটার অনলাইনে দেয়া বিজ্ঞাপনের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী এক সপ্তাহের মধ্যে অর্ডারকৃত পণ্য পৌঁছে দেয়ার কথা। কিন্তু বাটা কর্তৃপক্ষ যথাসময়ে পণ্য ডেলিভারি দিতে ব্যর্থ হয়। ফলে ক্রেতা পণ্য সরবরাহে বার বার তাগাদা দিলেও বাটা কর্তৃপক্ষ তা আমলে নেয়নি। পরে তিনি বাটার বিরুদ্ধে ভোক্তা অধিদফ্তরে অভিযোগ করেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে বিষয়টি শুনানি হয়। শুনানিতে বাটার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় এ জারিমানা করা হয়। ৬ ডিসেম্বরের মধ্যে জরিমানা পরিশোধ করতে কোম্পানিকে বলা হয়। এর আগেও প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে একাধিকবার প্রতিশ্রুতি ভঙ্গের অভিযোগ প্রমাণিত হয়।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!