গাজীপুরে প্রকাশ্যে সাংবাদিক তুহিনকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় সরাসরি জড়িত থাকার অভিযোগে সাতজনকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। শনিবার (৯ আগস্ট) সকালে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপকমিশনার রবিউল হাসান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, গ্রেপ্তারের বিস্তারিত পরে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হবে।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন— ফয়সাল ওরফে কেটু মিজান (যাকে পুলিশ হত্যাকাণ্ডের মূল হোতা হিসেবে চিহ্নিত করেছে), তার স্ত্রী গোলাপী, সুমন, আল আমিন, স্বাধীন, মো. শাহ জালাল (৩২) এবং মো. ফয়সাল হাসান (২৩)।
উপকমিশনার রবিউল জানান, সাংবাদিক তুহিন হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে মোট সাতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সবাই সরাসরি এই হত্যার সঙ্গে সম্পৃক্ত। এর মধ্যে গাজীপুরের সদর উপজেলার ভবানীপুর এলাকা থেকে ফয়সাল, তার স্ত্রী গোলাপী ও সুমনকে গ্রেপ্তার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ। ঢাকার উত্তরার তুরাগ এলাকা থেকে আল আমিনকে গ্রেপ্তার করেছে বাসন থানা পুলিশ, আর গাজীপুরের সদর উপজেলার হোতাপাড়া এলাকা থেকে স্বাধীনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
এছাড়া, মামলার অন্যতম আসামি শাহ জালালকে ময়মনসিংহের গফরগাঁও থানার চর মসলন্দ মোড়লপাড়া এলাকা থেকে এবং মো. ফয়সাল হাসানকে গাজীপুর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শাহ জালাল কুমিল্লার হোমনা উপজেলার কাশিপুর ইউনিয়নের অনন্তপুর গ্রামের হানিফ ভূঁইয়ার ছেলে। ফয়সাল পাবনার চাটমোহর উপজেলার পাচবাড়ীয়া গ্রামের কিয়ামুদ্দিন হাসানের ছেলে এবং তিনি গাজীপুরের বাসন থানার চান্না মাহাবুব স্কুল মোড় এলাকায় ভাড়া থাকেন।
রবিউল আরও জানান, গ্রেপ্তারদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। হত্যার সঠিক কারণ উদঘাটনের চেষ্টা করা হচ্ছে। বিষয়টি পরবর্তীতে সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত জানানো হবে।
নিহত সাংবাদিক মো. আসাদুজ্জামান তুহিন (৩৮) দৈনিক প্রতিদিনের কাগজ পত্রিকার গাজীপুরের স্টাফ রিপোর্টার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। বৃহস্পতিবার রাতে চন্দনা চৌরাস্তা এলাকায় তাকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় তার বড় ভাই মো. সেলিম অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন। তুহিনের স্ত্রী মুক্তা আক্তার ছাড়াও সংসারে দুই ছেলে— তৌকির (৭) ও ফাহিম (৩) রয়েছে।
স্বজনদের মতে, আসাদুজ্জামান তুহিন ২০০৫ সালে ফুলবাড়িয়া আল হেরা স্কুল থেকে এসএসসি এবং ২০০৭ সালে সিলেট এম সাইফুর রহমান কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন। পরে গাজীপুরের ভাওয়াল কলেজ থেকে স্নাতক (সম্মান) ডিগ্রি অর্জনের পর ভাই জসিম উদ্দিনের ব্যবসায় যুক্ত হন। এরপর তিনি একটি ওষুধ কোম্পানিতে চাকরি নেন। ২০১২ সাল থেকে তিনি সংবাদপত্রে কাজ শুরু করেন।
**পুলিশের সামনেই সাংবাদিককে পেটালো চাঁদাবাজরা
**চাঁদাবাজির লাইভের পর সাংবাদিককে গলা কেটে হত্যা

