ট্যাকসেস আপিলাত ট্রাইব্যুনালে সদস্য হিসেবে দুই জেলা জজ নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের আওতাধীন এই আপিলাত ট্রাইব্যুনালে প্রায় দুই যুগ পর দুইজন জেলা জজ যোগদান করেছেন। নিয়োগপ্রাপ্তরা হলেন-মোহাম্মদ সামছুল হক ও মোহাম্মদ আনিসুর রহমান। মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর জনসংযোগ কর্মকর্তা সৈয়দ এ মু’মেন এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানিয়েছেন, কর্মরত ও অবসরপ্রাপ্ত কর কমিশনার, জেলা জজ, চার্টার্ড অ্যাকাউন্টট্যান্ট, কস্ট অ্যান্ড ম্যানেজমেন্টে অ্যাকাউন্টট্যান্ট, অ্যাডভোকেট ও কর আইনজীবীদের ট্যাকসেস আপিলাত ট্রাইব্যুনালে সদস্য পদে নিয়োগ দেওয়ার বিধান রয়েছে। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে শুধু কর্মরত কর কমিশনার এ দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। ২০১৩-১৪ অর্থবছরের পর কোনো বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তা ট্যাকসেস আপিলাত ট্রাইব্যুনালে নিয়োগ পাননি। এক যুগ পর ওই নিয়োগ দেওয়া হলো। আয়কর আইন অনুযায়ী কর ক্যাডার বহির্ভূত পেশাজীবীদের ট্যাকসেস আপিলাত ট্রাইব্যুনালের সদস্য নিয়োগের জন্য করদাতারা অনেক দিন ধরে দাবি জানিয়ে আসছিলেন।
সৈয়দ এ মু’মেন বলেন, নিয়োগপ্রাপ্ত জেলা জজ মোহাম্মদ সামছুল হক ২২তম বিসিএসের মাধ্যমে বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিসে যোগ দেন। তিনি জেলা ও দায়রা জজ পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত হয়ে যশোর জেলার বিশেষ জজ (জেলা ও দায়রা জজ) হিসেবে কাজ করেন। ইতোপূর্বে তিনি বিভিন্ন জেলায় দেওয়ানি ও ফৌজদারি মামলাসহ দুর্নীতি দমন কমিশনের মামলা পরিচালনা করার পাশাপাশি বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসনিক পদে দায়িত্ব পালন করেছেন। মোহাম্মদ সামছুল হক হক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় হতে আইনে প্রথম শ্রেণিতে সম্মান ও প্রথম শ্রেণিতে মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করেন। মোহাম্মদ আনিসুর রহমান ২৪তম বিসিএসের মাধ্যমে বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিসে যোগদান করেন। তিনি ইতোপূর্বে জেলা ও দায়রা জজ পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত হয়ে ময়মনসিংহ জেলার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে বিচারকের দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়াও তিনি মাঠ পর্যায়ের বিভিন্ন পদে বিচারিক দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইনে প্রথম শ্রেণিতে সম্মান ও মাস্টার্স ডিগ্রি এবং যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অব ইয়র্ক হতে মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করেন।
অপরদিকে, অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ মনে করে, এ নিয়োগের মাধ্যমে ট্যাকসেস আপিলাত ট্রাইব্যুনালের কার্যক্রম অধিকতর গতিশীল হবে, আয়কর বিভাগের প্রতি করদাতাদের আস্থা বৃদ্ধি পাবে। যা দেশের রাজস্ব আদায়ে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে।
***