ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে চাল আমদানি বাড়লেও সাতক্ষীরার পাইকারি ও খুচরা বাজারে দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। স্থানীয় ব্যবসায়ীদের মতে, বন্দর দিয়ে আমদানি করা অধিকাংশ চাল উত্তরবঙ্গসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সরবরাহ হচ্ছে। ফলে আমদানি বাড়লেও তার প্রভাব পড়ছে না সাতক্ষীরার চালের বাজারে।
গতকাল সাতক্ষীরা জেলা সদরের সুলতানপুর বড় বাজারের কয়েকটি খুচরা চাল বিক্রয় প্রতিষ্ঠানে দেখা গেছে, প্রতি কেজি মিনিকেট চাল ৬৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ সময় ২৮ জাতের চিকন ও মোটা চাল বিক্রি হয়েছে যথাক্রমে কেজিপ্রতি ৬২-৬৩ ও ৪৯-৫০ টাকায়। এছাড়া গতকাল বাসমতী ও আতপ চালের দাম ছিল যথাক্রমে কেজিপ্রতি ৮৫ ও ৫৪-৫৫ টাকা। তিন মাস ধরে সাতক্ষীরায় একই দামে চাল বিক্রি হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

ভোমরা শুল্ক স্টেশনের রাজস্ব শাখার তথ্য অনুযায়ী, চলতি ২০২৫–২৬ অর্থবছরের আগস্ট ও সেপ্টেম্বরে বন্দর দিয়ে ১ লাখ ৩৩ হাজার ৯২৩ টন চাল আমদানি হয়েছে, যার মূল্য প্রায় ৭৪৫ কোটি ৫৭ লাখ টাকা। স্থানীয় চাল ব্যবসায়ী আইয়ূব হোসেন জানান, ভোমরা দিয়ে আমদানি করা চাল স্থানীয় বাজারে নয়, বরং উত্তরবঙ্গ, রাজধানী ঢাকা ও চট্টগ্রাম অঞ্চলে সরবরাহ করা হয়। তাই আমদানি বাড়লেও সাতক্ষীরার বাজারে তার প্রভাব পড়ছে না।
এ বিষয়ে সাতক্ষীরা জেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত কৃষি বিপণন কর্মকর্তা এসএম আব্দুল্লাহ বলেন, ‘সাতক্ষীরার চালের বাজার নিয়ন্ত্রণে নেই। ধারণা করা হয়েছিল ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে চাল আমদানি হলে সাতক্ষীরার বাজারে কিছুটা তার প্রভাব পড়বে। কিন্তু দুই থেকে আড়াই মাস ধরে অঞ্চলটিতে চালের দাম একই রয়ে গেছে। বিষয়টি জরুরি ভিত্তিতে খতিয়ে দেখা হবে।’

