** আদানির সঙ্গে বিদ্যুৎ কেনার চুক্তিতে শুল্ক-কর ছাড়ের বিষয়ে এনবিআর অসম্মতি জানিয়েছিল। কিন্তু তা উপেক্ষা করে পিডিবি নিজেরাই শুল্ক-কর অব্যাহতি দিয়ে চুক্তি করে
** তিনটি পথে প্রায় দুই হাজার ৬৫৬ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি করেছে বাংলাদেশ। এর মধ্যে কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা, কুমিল্লা আর চাঁপাইনবাবগঞ্জ দিয়ে আসে বিদ্যুৎ
** আদানির বিদ্যুৎ আমদানির রুট কাস্টমস আইন অনুযায়ী অনুমোদিত নয়। সেহেতু কাস্টমস আইনের ক্ষমতাবলে কাস্টমস স্টেশন ঘোষণা করা যেতে পারে পারে কমিটি মতামত দিয়েছে
ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ঘনিষ্ঠ গৌতম আদানির মালিকানাধীন আদানি গ্রুপের সঙ্গে ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনা সরকারের অসম বিদ্যুৎ চুক্তির খেসারত দিচ্ছে দেশের মানুষ। আদানির সঙ্গে দেশের স্বার্থবিরোধী অসম চুক্তি নিয়ে শুরু থেকেই মানুষের মধ্যে ছিল অসন্তোষ ও ক্ষোভ। হাসিনা সরকারের পতনের পর ইউনিটপ্রতি অতিরিক্ত কয়লা ব্যবহার, বিল পরিশোধে বিলম্বের জন্য উচ্চহারের সুদসহ ক্যাপাসিটি চার্জ ধরে অতিরিক্ত পাওনা দাবি করা হচ্ছে। ইচ্ছাকৃতভাবে নিয়মিত বিলের জন্য তাগিদ দিয়ে উৎপাদনও কমিয়েছে আদানি।
সাবেক সরকারের প্রত্যক্ষ মদদ পাওয়ায় আইনের কোনো তোয়াক্কা করা হয়নি আদানির বিদ্যুৎ আমদানিতে। ভারতকে সন্তুষ্ট করা অসম চুক্তিতে বাড়তি দামে বিদ্যুৎ কিনে এখন ফেঁসে যাচ্ছে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি)।আদানি গ্রুপের সঙ্গে পিডিবির চুক্তি খতিয়ে দেখতে ৫ সেপ্টেম্বর ৯ সদস্যের একটি উচ্চপর্যায়ের কমিটি গঠন করে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর। বিদ্যুৎ আমদানির ক্ষেত্রে প্রতি ইউনিটের নির্ধারিত মূল্য ও তার ওপর শুল্ক-কর আদায়যোগ্য কিনা, প্রযোজ্য হলে শুল্ক-কর পরিশোধ করা হয়েছে কিনা এবং শুল্ক-কর ছাড়ের বিষয়ে এনবিআর অনুমতি দিয়েছিল কিনা-এসব বিষয় পর্যালোচনা করে কমিটি। ৩ নভেম্বর ওই কমিটি তাদের প্রতিবেদন এনবিআরে জমা দিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এনবিআর থেকে অব্যাহতির আদেশ না থাকা সত্ত্বেও ভারতীয় বিদ্যুৎ রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান আদানি গ্রুপ থেকে বিদ্যুৎ আমদানি করে পিডিবি কর্তৃক শুল্ক-কর পরিশোধ না করায় ৩৯ কোটি ৭৩ লাখ ডলার (৪ হাজার ৬৮৮ কোটি টাকা, এক ডলার ১১৮ টাকা হিসাবে) আদায়যোগ্য। অর্থাৎ এই অর্থ পিডিবি থেকে এনবিআরকে পরিশোধ করার কথা থাকলেও তা করেনি। এতে রাষ্ট্র ৪ হাজার ৬৮৮ কোটি টাকা শুল্ক ক্ষতির ক্ষতির মুখে পড়েছে।
কাস্টমস গোয়েন্দা প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ‘আদানির সঙ্গে চুক্তির আগে বাংলাদেশের বিদ্যুৎ বিভাগ ভারতের রাষ্ট্রীয় বিদ্যুৎ বিতরণ সংস্থা এনটিপিসি বিদ্যুৎ নিগাম লিমিটেড থেকে বিদ্যুৎ কেনে। এ ক্ষেত্রেও এনবিআর শুল্ক অব্যাহতিসংক্রান্ত আদেশ জারি করেনি। ফলে এনটিপিসি থেকে বিদ্যুৎ কেনার ক্ষেত্রে বিদ্যুৎ বিভাগ শুল্ক-কর ফাঁকির দায় এড়াতে পারে না। তাই বিদ্যুৎ বিভাগকে শুল্ক পরিশোধের নির্দেশনা দেওয়া যেতে পারে।’
অনুসন্ধানে জানা গেছে, ২০১৭ সালের ৫ নভেম্বর আদানি পাওয়ারের সঙ্গে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি) চুক্তি সই করে। এক হাজার ৪৯৬ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেনার ওই চুক্তি সইয়ে কঠোর গোপনীয়তা অনুসরণ করা হয়। চুক্তির খসড়ার ওপর মতামত দিতে সরকারের অন্য কোনো দপ্তরে পাঠানো হয়নি। এমনকি বিদ্যুৎ বিভাগে এলেও তা পিডিবিতে পাঠানো হয়নি। ২০২২ সালের শেষের দিকে আলোচনায় আসে আদানির চুক্তির বিষয়টি। নিয়ম অনুযায়ী, সরকার অন্য কোনো দেশের সঙ্গে আন্তর্জাতিক চুক্তি বা প্রটোকল স্বাক্ষরের আগে সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোর মতামত নিয়ে থাকে।
রহনপুর কাস্টমস স্টেশন দিয়ে বিদ্যুৎ আমদানির নিয়ম না থাকলেও তা করা হয়েছে এবং হচ্ছে। অনিয়ম ও ক্ষমতার দাপটে বিদ্যুৎ আমদানিতে কোনো ধরনের বিল অব এন্ট্রি সাবমিট করা হয়নি। অথচ যেকোনো ধরনের আমদানিতে বিল অব এন্ট্রি দাখিল করা বাধ্যতামূলক। আদানির কাছ থেকে বিদ্যুৎ আমদানির পুরো প্রক্রিয়াই ছিল অবৈধ ও ক্ষমতার নগ্ন হস্তক্ষেপ। এই প্রক্রিয়ায় যেকোনো ধরনের পণ্য আমদানির সুযোগ নেই বলে জানিয়েছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কর্মকর্তারা। অন্যদিকে পিডিবির কর্মকর্তারা দায় চাপিয়েছেন চুক্তির সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের। তবে শুল্ক ফাঁকির চেয়ে অসম চুক্তিটাই মুখ্য বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা।
এনবিআর সূত্র জানায়, ২০২২ সালে বিদ্যুৎ আমদানিতে শুল্ক-কর অব্যাহতি চেয়ে বিদ্যুৎ বিভাগ এনবিআরকে চিঠি দেয়। এর প্রেক্ষিতে চুক্তি খসড়া পাঠাতে এনবিআর ২০২৩ সালের ২ মার্চ, ২২ মার্চ ও ১৩ এপ্রিল বিদ্যুৎ বিভাগে ৩ দফায় চিঠি দেয়। কিন্তু বিদ্যুৎ বিভাগ থেকে খসড়া পাঠানো হয়নি। এ কারণে এ বিষয়ে এনবিআর মতামত দিতে পারেনি। চলতি বছরের ৩১ অক্টোবর বিদ্যুৎ বিভাগ এনবিআরকে জানায়, আয়কর অব্যাহতি প্রদানে অসম্মতি জানিয়ে শর্ত সংযোজনের নির্দেশনা দিয়েছিল এনবিআর। পরবর্তীতে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড ‘যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদনক্রমে’ শুল্ক, ভ্যাট ও আয়কর থেকে অব্যাহতি দিয়ে চুক্তি করা হয়। এখানে ‘যথাযথ কর্তৃপক্ষ’ কে তা স্পষ্ট করা হয়নি।
তথ্য বলছে, বাংলাদেশ বিভিন্ন সময়ে ভারতের সঙ্গে বিদ্যুৎ আমদানির চুক্তি করে। এসব চুক্তির আওতায় তিনটি পথে প্রায় দুই হাজার ৬৫৬ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি করে বাংলাদেশ। এর মধ্যে কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা, কুমিল্লা আর চাঁপাইনবাবগঞ্জ দিয়ে আসে বিদ্যুৎ। তবে মাত্র ২৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানির জন্য শুল্ক-করসংক্রান্ত ছাড়পত্র জারি হয়েছে। বাকি বিদ্যুৎ আমদানির ক্ষেত্রে শুল্ক-কর ছাড়ের কোনো তথ্য-প্রমাণ নেই। এ ছাড়া আদানিসহ বিভিন্ন পথে যে বিদ্যুৎ আসছে, এর জন্য শুল্ক আইন মেনে বিভিন্ন শুল্ক স্টেশনে বিল অব এন্ট্রি জমা দেওয়ার কথা, কিন্তু কখনো বিল অব এন্ট্রি জমার তথ্য নেই কাস্টমসের কাছে।
অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের স্বার্থবিরোধী বিভিন্ন চুক্তি খতিয়ে দেখতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এরই অংশ হিসেবে কাস্টমস গোয়েন্দা আদানির সঙ্গে বিদ্যুৎ চুক্তিতে শুল্কে অনিয়ম খুঁজতে আট কর্মকর্তার সমন্বয়ে কমিটি করে। কমিটির দায়িত্ব ছিল ভারত থেকে আনা বিদ্যুতের দায় শোধ, প্রতি ইউনিটের দাম, প্রযোজ্য শুল্ক-কর ও শুল্ক আইন মেনে আমদানি করার সব তথ্য-উপাত্ত যাচাই-বাছাই করাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা খতিয়ে দেখা। তবে অনিয়ম ছাড়া কিছুই খুঁজে পায়নি কমিটি।
প্রতিবেদন বলছে, ২০২৪ সালের জুলাই পর্যন্ত আদানির কাছ থেকে ১২৮ কোটি ১৮ লাখ ৪৩ হাজার ৪৪২ ডলারের বিদ্যুৎ আমদানি করা হয়েছে। এই আমদানি করা বিদ্যুতে ৫ শতাংশ কাস্টমস শুল্ক, ১৫ শতাংশ ভ্যাট, ৫ শতাংশ অগ্রিম আয়কর, ৫ শতাংশ আগাম করসহ মোট করভার ৩১ শতাংশ। সে হিসাবে আদানির কাছ থেকে এনবিআরের পাওনা রাজস্বের পরিমাণ ৩৯ কোটি ৭৩ লাখ ৭১ হাজার ৪৬৭ ডলার, যা প্রায় ৪ হাজার ৬৮৮ কোটি টাকার সমান। কমিটির প্রতিবেদন বলছে, বাংলাদেশ সরকার ও আদানি গ্রুপের মধ্যে স্বাক্ষরিত চুক্তি অনুযায়ী, বিদ্যুৎ আমদানির ক্ষেত্রে প্রতি ইউনিটের ক্ষেত্রে বছরভিত্তিক ভিন্নতা রয়েছে। যেহেতু এনবিআর আদানির বিদ্যুৎ আমদানিতে কোনো শুল্ক-কর অব্যাহতি আদেশ জারি করেনি, সেহেতু আদানির বিদ্যুৎ আমদানিতে শুল্ক-কর আদায়যোগ্য।
পিডিবি জানায়, আদানি পাওয়ারের সঙ্গে বাংলাদেশ সরকারের বাস্তবায়ন চুক্তি (আইএ) স্বাক্ষরিত হয়েছে। এ বিষয়ে বিদ্যুৎ বিভাগ ২০২২ সালের মার্চে এনবিআরের কাছে শুল্ক-কর মওকুফের আবেদন করে। কিন্তু এনবিআরের শুল্ক অব্যাহতি ও প্রকল্প অব্যাহতি শাখা থেকে অব্যাহতির সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়নি। পরে ২০২৩ সালের মার্চ ও এপ্রিল মাসে অব্যাহতি বিষয়ে চুক্তির আগে এনবিআরের কোনো মতামত নেওয়া হয়েছিল কি না, জানতে চেয়ে বিদ্যুৎ বিভাগকে চিঠি দেয় এনবিআর। তবে সেই চিঠির জবাব দেওয়া হয়নি। অর্থাৎ কোনো শুল্ক-কর মওকুফ করা হয়নি। বিদ্যুৎ আমদানির বিপরীতে কোনো শুল্ক ছাড় প্রসঙ্গে এনবিআর জানায়, আদানির বিদ্যুতে শুল্ক ছাড় পেতে এনবিআরকে চিঠি দিয়েছিল বিদ্যুৎ বিভাগ। তবে আদানির বিদ্যুৎ আমদানিতে কোনো শুল্ক ছাড় দেওয়া হয়নি। এ প্রসঙ্গে পিডিবি জানায়, আদানি পাওয়ার লিমিটেডের সঙ্গে সরকারের আইএ স্বাক্ষরিত হয়েছে। এর ১২তম অধ্যায়ে যাবতীয় শুল্ক-কর মওকুফের উল্লেখ করা হয়েছে। এ ব্যাপারে এনবিআরের কোনো অনুমোদন না নেওয়ায় শুল্ক-কর প্রযোজ্য।
আদানির বিদ্যুৎকেন্দ্রটি ভারতের ঝাড়খণ্ড রাজ্যের গোড্ডায় নির্মিত। বাংলাদেশের মনকষা সীমান্তবর্তী এলাকা দিয়ে বৈদ্যুতিক তারের মাধ্যমে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার নাচোল উপজেলায় অবস্থিত ৪০০/১৩২ কেভি গ্রিড উপকেন্দ্রে বিদ্যুৎ আমদানি করা হতো। এই গ্রিড উপকেন্দ্র রহনপুর কাস্টমস স্টেশন থেকে পাঁচ-ছয় কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। কিন্তু আদানির কাছ থেকে পিডিবি যে রুটে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ প্রবেশ ও সঞ্চালন করে, তা কাস্টমস আইন ২০২৩ অনুযায়ী কাস্টমস স্টেশন হিসেবে অনুমোদিত নয়। প্রতিবেদন বলছে, সীমান্ত দিয়ে বিদ্যুৎ আমদানির বিষয়টি পিডিবির মাধ্যমে কেন্দ্রীয় ও রাষ্ট্রীয়ভাবে নিয়ন্ত্রিত ও পরিচালিত। এ ছাড়া রহনপুর কাস্টমস স্টেশনের অ্যাসাইকুডা ওয়ার্ল্ড সিস্টেমে দেখা গেছে, বিদ্যুৎ আমদানির কোনো বিল অব এন্ট্রি দাখিল করা হয়নি। রহনপুর শুল্ক স্টেশনের আমদানিযোগ্য পণ্যের তালিকায় বিদ্যুৎ নেই। এনবিআর শুল্ক-কর অব্যাহতির প্রজ্ঞাপন জারি করেনি।
বিশ্বের যেকোনো দেশ থেকে যেকোনো ধরনের পণ্য আমদানি করলে তার এইচএস কোড অনুযায়ী তথ্য সংরক্ষিত থাকে কাস্টমসের অ্যাসাইকুডা ওয়ার্ল্ড সিস্টেমে। তবে আদানির কাছ থেকে বিদ্যুৎ আমদানির এইচএস কোডের বিপরীতে কোনো তথ্য পায়নি কমিটি।
কাস্টমস গোয়েন্দার কমিটি যে মতামত দিয়েছে : আদানির বিদ্যুৎ আমদানির রুট কাস্টমস আইন অনুযায়ী অনুমোদিত নয়। সেহেতু কাস্টমস আইনের ক্ষমতাবলে কাস্টমস স্টেশন ঘোষণা করা যেতে পারে। বিদ্যুৎ আমদানিতে বিল অব এন্ট্রি কোন পদ্ধতিতে দাখিল করা হবে, সে বিষয়ে এনবিআর নির্দেশনা দিতে পারে। শুল্ক-কর পরিশোধ না করেই আমদানি করায় পিডিবিকে শুল্ক-কর পরিশোধের নির্দেশনা দেওয়া যেতে পারে। এ ছাড়া কাস্টমস আইনের ৯০ ও ৯১ ধারা অনুযায়ী পিডিবির বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে।
আদানির সঙ্গে চুক্তির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট : ভারতের আদানি গ্রুপের সঙ্গে বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট আবেদন করা হয়েছে। সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী এম আব্দুল কাইয়ুম বুধবার রিটটি করেন। বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে এই রিটের শুনানি হতে পারে। রিটে আদানি গ্রুপের সঙ্গে সম্পাদিত চুক্তিকে অসম, অন্যায্য ও দেশের স্বার্থপরিপন্থি বলে উল্লেখ করা হয়েছে। চুক্তির শর্তগুলো সমতা ও ন্যায্যতার ভিত্তিতে সংশোধন করার কথা রিটে বলা হয়েছে। এতে আদানি গ্রুপ রাজি না হলে চুক্তিটি বাতিল করার জন্য রিটে সংশ্লিষ্টদের প্রতি নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। এর আগে গত বুধবার সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী এম আব্দুল কাইয়ুম পিডিবির চেয়ারম্যান ও জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের সচিব বরাবর এ বিষয়ে একটি আইনি (লিগ্যাল) নোটিশ পাঠান। নোটিশে তিন দিনের মধ্যে চুক্তি সংশোধন প্রক্রিয়া শুরু করতে বলা হয়েছিল। তা না হলে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট করা হবে বলে উল্লেখ করা হয়েছিল। এই আইনি নোটিশের কোনো জবাব না পেয়ে রিটটি করা হয়েছে বলে জানান রিটকারী আইনজীবী। আদানি গোষ্ঠী ভারতের ঝাড়খণ্ড রাজ্যের গোড্ডায় একটি বিদ্যুৎ প্রকল্প থেকে উৎপাদিত বিদ্যুতের পুরোটাই বাংলাদেশে সরবরাহ করে। বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে আদানি গোষ্ঠীর সঙ্গে এই চুক্তি হয়। শুরু থেকেই এই বিদ্যুতের দাম নিয়ে বিতর্ক ওঠে।
**** আদানি সংক্রান্ত আরো নিউজ পড়ুন
** ভারত থেকে শুল্ককর ছাড়াই আসছে আদানির বিদ্যুৎ!
** শুল্ককর দেয়নি আদানি: অনিয়ম অনুসন্ধানে কমিটি